জীবন থেকে তেল বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওজন কমানো ও স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য। তা বলে স্বাদের সঙ্গে আপস কেন? কৌশল জেনে নিলে স্বাস্থ্যকর উপকরণ দিয়েই সুস্বাদু বানাতে পারেন রান্না। ঠিক যেমন রসুন, টম্যাটো হোক বা হিং, জিরে হোক, অথবা পেঁয়াজ বা শুকনো লঙ্কা তেলে ছেড়ে তার পর সেটি ডালে না ঢাললে যেন মন ভরে না। কিন্তু তেলই যদি না খেতে পারেন, তা হলে ফোড়ন দেওয়ার উপায়ও নেই। কিন্তু তেল ও ফোড়ন ছাড়াও সেদ্ধ ডালকে সুস্বাদু বানানো যায়। স্বাস্থ্য নিয়েও দুশ্চিন্তা করতে হবে না সে ক্ষেত্রে। কেবল জানতে হবে সহজ ৫টি টোটকা।
১. এখানেও প্রয়োজন ভাজা মশলাকেই। কিন্তু তেলে নয়, শুকনো তাওয়ায় ভেজে নেওয়া ভারতীয় মশলাই দারুণ স্বাদ এনে দিতে পারে ডালে। পরিমাণ মতো গোটা মশলা জিরে, ধনে, মৌরি, লবঙ্গ নিয়ে শুকনো খোলায় নাড়াচাড়া করে নিয়ে গুঁড়ো করে নিন। গরম ডাল পরিবেশন করার ঠিক আগের মুহূর্তে ওই গুঁড়ো ঢেলে দিন বাটিতে।
স্বাস্থ্যকর উপকরণ দিয়েই সুস্বাদু বানাতে পারেন ডাল। ছবি: সংগৃহীত।
২. ডালে রসুন ফোড়ন দিয়ে খেতে ভাল লাগে? তেল বাদ বলে মনখারাপ করবেন না। তেল ছাড়া সরাসরি আগুনে পুড়িয়ে রসুনের ছাল ছাড়িয়ে ডালে দিয়ে দেওয়া যায়। ছাল ছাড়ানোর পর অবশ্য চামচ দিয়ে থেঁতো করে নিতে হবে। এতেও প্রায় একই রকম স্বাদ আসতে পারে ডালে। উপরন্তু স্মোকি স্বাদও আসবে রান্নায়।
৩. তেলের বদলে গরম ঘিয়ে একটু গোলমরিচ, জোয়ান অথবা কসুরি মেথি নাড়াচাড়া করে নিন। তার পর গরম ডালে ঘি ছেঁকে ঢেলে দিন। না ছেঁকেও অনেকে মশলা সমেত ডালে যোগ করে দিতে পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন:
৪. তেলে মশলা ছেড়ে ফোড়ন দেওয়ার অভ্যাস পুরোপুরি বর্জন করতে হবে না। কেবল তেলটুকু বাদ দিলেই হবেই। ডাল যখন আঁচে বসানো, সেই সময়েই স্বাদমতো কারিপাতা, তেজপাতা, রসুনকুচি, টম্যাটোকুচি, পেঁয়াজকুচি, গোলমরিচ, দারচিনির টুকরো ঢেলে দিতে পারেন। ফুটন্ত ডালে মিশে স্বাদ বৃদ্ধি করতে পারে মশলাগুলি।
৫. ডালে টম্যাটো বা আমচুরের ফোড়ন পছন্দ? টক স্বাদ আনতে লেবু ব্যবহার করতে পারেন এগুলির বদলে। অথবা তেঁতুলও বেশ কার্যকরী। ডাল পুরোপুরি রান্না হয়ে গেলে লেবুর রস মিশিয়ে দিন, খেতে ভাল লাগবে।