Advertisement
E-Paper

মহাকাশে হাঁসজারু! বিশাল লেজ-সহ গ্রহাণুর হদিশ

গত ডিসেম্বরে, ব্রহ্মাণ্ডে ‘আমাদের পাড়া’ মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিতে একটা ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার পরেই চেহারা বেমালুম বদলে গিয়েছে ওই গ্রহাণু- ‘৬৪৭৮ গল্ট’-এর। তার বিশাল একটা লেজ গজিয়ে গিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:৪৬
সেই বিরল গ্রহাণু ‘৬৪৭৮-গল্ট’।

সেই বিরল গ্রহাণু ‘৬৪৭৮-গল্ট’।

এ বার একটা অদ্ভুত দর্শন গ্রহাণু বা অ্যাস্টারয়েডের দেখা মিলল। যে অনেকটা সেই হাঁস নয়, সজারুও নয়। অনেকটা ‘হাঁসজারু’র মতো!

গত ডিসেম্বরে, ব্রহ্মাণ্ডে ‘আমাদের পাড়া’ মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিতে একটা ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার পরেই চেহারা বেমালুম বদলে গিয়েছে ওই গ্রহাণু- ‘৬৪৭৮ গল্ট’-এর। তার বিশাল একটা লেজ গজিয়ে গিয়েছে। যেমনটা থাকে ধূমকেতুদের

‘অ্যাটলাস’ অবজারভেটরি প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা এই অবাক করা ঘটনাটি দেখেছেন এই জানুয়ারিতে।

কী ভাবে গ্রহাণুটির লেজ গজিয়েছে? দেখুন ভিডিয়ো

তাঁদের ধারণা, মঙ্গল আর বৃহস্পতির মধ্যে রয়েছে গ্রহাণুদের যে জগৎ, সেই গ্রহাণুমণ্ডল বা অ্যাস্টারয়েড বেল্টেরই বাসিন্দা এই গ্রহাণু- ৬৪৭৮ গল্ট।

পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব যতটা, ওই বিরল গ্রহাণুটির লেজটা লম্বায় তার চেয়েও বেশি। অন্তত ৪ লক্ষ কিলোমিটার।

কী ভাবে লেজ হল ওই গ্রহাণুর?

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গত ডিসেম্বরে একটা ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছিল মহাকাশে। সেটা হয়েছিল মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যে থাকা অ্যাস্টারয়েড বেল্টে। গ্রহাণুদের মধ্যে। দূর থেকে ছুটে এসে এক পাগলাটে গ্রহাণু এতটাই জোরে ধাক্কা মেরেছে যে, তার জেরে আর ওই গ্রহাণুর (৬৪৭৮-গল্ট) শরীরের বড় একটা অংশ বেরিয়ে এসেছে। শরীরের ‘নাড়িভুড়ি’ বেরিয়ে আসার মতো।

কোথায় রয়েছে সেই গ্রহাণু? সংঘর্ষ ঘটেছিল কোথায়? দেখুন ভিডিয়ো

আরও পড়ুন- ‘বাঁচার রসদ’ খুঁজতে গিয়ে আজ থেকে ‘ঘাতকে’র সন্ধানে নামছে নাসা​

আরও পড়ুন- ভানুমতীর খেল! একটা কণাই বদলে দিল আমাদের​

মহাকাশে হাঁসজারু!

আর তার ফলে, সেই জোরালো ধাক্কা খাওয়া গ্রহাণুটি হয়ে পড়েছে কিম্ভূতকিমাকার। তার বিশাল লেজ গজিয়েছে। যা মহাকাশে ছড়িয়ে পড়েছে ৪ লক্ষ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা জুড়ে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের চোখে সেই গ্রহাণুটির দশা এখন ‘হাঁসজারু’র মতো। হাঁসজারু যেমন হাঁস নয়, সজারুও নয়। দু’টি প্রাণী মিলে সে কল্পনার হাঁসজারু। তেমনই এই গ্রহাণুটির অত লম্বা লেজ দেখে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আর কয়েক কোটি বছর পর সেটি আর গ্রহাণু থাকবে না। হয়ে যাবে পুরোপুরি একটি ধূমকেতু।

এই গ্রহাণুটির আবিষ্কার হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। এটি গ্রহাণুদের ‘ফোকিয়া’ পরিবারের সদস্য। যেখানে রয়েছে ২ হাজারেরও বেশি গ্রহাণু। সেগুলির জন্ম ২২০ কোটি বছর আগে। যার মানে, পৃথিবীর জন্মের অনেক অনেক পরে। চেহারাতেও যে সেই গ্রহাণু খুব ছোট্টখাট্টো, তা কিন্তু নয়। তার ব্যাস সাড়ে ৩ কিলোমিটারেরও বেশি।

ছবি ও ভিডিয়ো সৌজন্যে: ‘অ্যাটলাস’ অবজারভেটরি প্রকল্প

Asteroid 6478 Gault Mars ৬৪৭৮ গল্ট
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy