Advertisement
E-Paper

টুকরো খবর

ঘুঘু, ময়না, বুলবুল, ডাহুক মিলিয়ে প্রায় ১৫ টি পাখি মেরে পালানোর সময় এলাকাবাসীর তত্‌পরতায় ধরা পড়ে গেল চার যুবক। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়ি এলাকায় মহানন্দা ব্যারেজের কাছে। ঘটনার খবর পেয়ে নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়ির পুলিশ এবং বন দফতরের কর্মীরা যান। যান পরিবেশপ্রেমীদের অনেকে। তাঁদের তত্‌পরতায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে বন দফতরের হাতে তুলে দেয়।

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৪ ০০:০১

পাখি মেরে ধৃত

নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি

ঘুঘু, ময়না, বুলবুল, ডাহুক মিলিয়ে প্রায় ১৫ টি পাখি মেরে পালানোর সময় এলাকাবাসীর তত্‌পরতায় ধরা পড়ে গেল চার যুবক। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়ি এলাকায় মহানন্দা ব্যারেজের কাছে। ঘটনার খবর পেয়ে নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়ির পুলিশ এবং বন দফতরের কর্মীরা যান। যান পরিবেশপ্রেমীদের অনেকে। তাঁদের তত্‌পরতায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে বন দফতরের হাতে তুলে দেয়। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি অংমু গ্যামসো পাল বলেন, “ধৃতদের বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই মামলা করবেন।” বন দফতরের পক্ষ থেকে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতরা সকলেই বাগডোগরার গয়াগঙ্গা চা বাগান এলাকার বাসিন্দা। শুকনার রেঞ্জার নিতাই রায় বলেন, “পাখি শিকার এমনিতেই নিষিদ্ধ। ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এদের কাছ থেকে দুটি বাঁটুল ও দুটি সাইকেল আটক করা হয়েছে।” এলাকার মহানন্দা ব্যারেজের জলে সারা বছরই বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আসে। শীতের শুরুতে নভেম্বরের গোড়ায় পরিযায়ী পাখিরাও ভিড় জমায় ফি বছর। পাখি আসার সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশপ্রেমীরা। পাখি শিকার চলতে থাকলে পরিযায়ী পাখির আনাগোনা বন্ধ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাইন্ডেশনের মুখপাত্র অনিমেষ বসু। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “স্থানীয় ওই যুবকদের ধন্যবাদ জানাই, তাঁরা বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে অপরাধীদের ধরতে সাহায্য করেছেন। এতে অন্তত এই বার্তা যাবে যে যথেচ্ছভাবে পাখি মারা যাবে না।” যে যুবকেরা অভিযুক্তদের পাকড়াও করে তাঁদের একজন রাজকুমার রায় বলেন, “এই ভাবে পাখি শিকার করতে আমরা দেব না। ভবিষ্যতেও এর প্রতিরোধ করব।”

ঝড়খালিতে পাঠানো হল বাঘ

সুন্দরবনের ঝড়খালির ‘ট্রান্সিট ক্যাম্পে’ অতিথি হয়ে এল দু’টি বাঘ। বন দফতরের ওই ক্যাম্প এখনও নির্মীয়মাণ অবস্থায়। এ মাসের শেষে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ক্যাম্পটির উদ্বোধন হওয়ার কথা। বন দফতরের একটি সূত্র বলছে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের কথা জানতে পেরে তড়িঘড়ি বাঘ দু’টিকে আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে পাঠানো হয়েছে ঝড়খালিতে। এখন থেকে আহত কিংবা লোকালয়ে এসে ধরা পড়া সুন্দরবনের বাঘ কলকাতায় পাঠানো হবে না। তাদের ঠিকানা হবে ওই ট্রান্সিট ক্যাম্প। সুস্থ হয়ে বনের ঠিকানায় ফেরার অবস্থায় থাকলে তাদের ফের জঙ্গলে পুনর্বাসন করা হবে।

ফাঁদ পেতেছে মাকড়সা।

লক্ষ্মীর বাহন। হাওড়ার শামপুরে।

brief story jibjagat tukro
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy