Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Isro Satellite Xposat

কৃষ্ণগহ্বর খুঁজতে মহাকাশে পাড়ি ভারতের! বিশ্বে দ্বিতীয়, শ্রীহরিকোটায় সাফল্য দিয়ে বছর শুরু করল ইসরো

এক্সপোস্যাট ভারতের প্রথম এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট। বিশ্বে এটি দ্বিতীয়। এই ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ এর আগে মহাকাশে পাঠিয়েছে শুধুমাত্র আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

Isro launches Xposat the first Polarimeter satellite of India

শ্রীহরিকোটা থেকে এক্সপোস্যাট স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ। ছবি: পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:১৯
Share: Save:

ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর খুঁজতে মহাকাশে পাড়ি দিল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর স্যাটেলাইট এক্সপোস্যাট। এটি ভারতের প্রথম এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট, যা বিশ্বে দ্বিতীয়। এই ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ এর আগে মহাকাশে পাঠিয়েছে শুধুমাত্র নাসা।

মহাকাশে কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান এবং পর্যবেক্ষণ করবে এই স্যাটেলাইট। এ ছাড়াও উজ্জ্বলতম ৫০টি শক্তির উৎস পর্যবেক্ষণ ‘এক্সপোস্যাটের’ তালিকায় রয়েছে। মহাকাশের নিউট্রন স্টারগুলিকেও এই কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে অধ্যয়ন করবেন বিজ্ঞানীরা।

বছরের প্রথম দিনটিকেই এই কাজের জন্য বেছে নিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। সোমবার ঠিক সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্‌ল বা পিএসএলভি-র পিঠে চেপে যাত্রা শুরু করল এক্সপোস্যাট। পিএসএলভি-র এটি ৬০তম মহাকাশ যাত্রা।

ইসরোর তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সাফল্যের কথা জানানো হয়েছে। আপাতত এক্সপোস্যাটকে রাখা হয়েছে পৃথিবী থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরের কক্ষপথে।

মহাকাশে এই কৃত্রিম উপগ্রহটির আয়ু পাঁচ বছর। পৃথিবীর উপরে নিচু কক্ষপথেই প্রদক্ষিণ করবে এক্সপোস্যাট। ভূমি থেকে তার সর্বোচ্চ উচ্চতা হবে ৫০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার। এক্সপোস্যাটে রয়েছে দু’টি পেলোড— পোলিক্স (পোলারিমিটার ইনস্ট্রুমেন্ট ইন এক্স-রে) এবং এক্সস্পেক্ট (এক্স-রে স্পেকট্রোস্কোপি অ্যান্ড টাইমিং)। রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার যৌথ ভাবে এই পেলোড তৈরি করেছে।

মহাকাশে এক্স রশ্মির উৎস খুঁজবে এক্সপোস্যাট। এর মাধ্যমে কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে গবেষণায় নতুন দিশা পেতে চলেছে ইসরো। কৃষ্ণগহ্বরের উপস্থিতি, সন্ধান, উৎস প্রভৃতি নানা তথ্য জোগাড় করবে এই স্যাটেলাইট।

মহাকাশে যখন কোনও তারার ‘মৃত্যু’ হয়, অর্থাৎ কোনও নক্ষত্র ধ্বংস হয়, তখন সৃষ্টি হয় কৃষ্ণগহ্বর এবং নিউট্রন স্টার। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সর্বোচ্চ মহাকর্ষীয় বলের অধিকারী ব্ল্যাক হোল।

এ ছাড়া, অনেকগুলি নিউট্রন কণা গাঢ় ঘনত্বে একত্রিত হয়ে তৈরি তারার নাম নিউট্রন স্টার। এই ধরনের নক্ষত্র অত্যন্ত ক্ষুদ্র আকারের হয়। সর্বসাকুল্যে নিউট্রন স্টারের ব্যাসার্ধ ৩০ কিলোমিটারের বেশি নয়। সেই নক্ষত্রগুলিকেও পর্যবেক্ষণ করবে এক্সপোস্যাট। এই মিশনটিতে ২৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে ইসরো।

ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ সোমবার বলেন, ‘‘আরও এক সাফল্য পেলাম পিএসএলভি-তে। এক্সপোস্যাট স্যাটেলাইট নির্দিষ্ট কক্ষপথে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সামনে আরও উত্তেজনাময় সময় অপেক্ষা করে আছে। সবে বছর শুরু হল। এ বছর আরও অনেক প্রকল্প রয়েছে। ২০২৪ গগনযানের বছর।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ISRO Satellite Space Science
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE