Advertisement
E-Paper

এ বার মানুষের থাকার ব্যবস্থা করতে চাঁদে যাচ্ছে আমেরিকা, জানাল নাসা

শুধু জাতীয় পতাকা পুঁতে আর মাটি তুলে এনেই কাজ শেষ হয়ে যাবে না চাঁদের মাটিতে নামা মার্কিন মহাকাশচারীদের। তাঁদের আরও অনেক রকমের জটিল কাজ করতে হবে চাঁদের মাটিতে নেমে। যাতে আগামী দিনে চাঁদে মানুষ পাঠানো যায়। সেখানেও গড়ে তোলা যায় মানুষের থাকার জায়গা।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৫:৪৬
নিল আর্মস্ট্রং। চাঁদের মাটিতে আমেরিকার পতাকা পোঁতার পর। ১৯৬৯ সালে। ছবি সৌজন্য: নাসা

নিল আর্মস্ট্রং। চাঁদের মাটিতে আমেরিকার পতাকা পোঁতার পর। ১৯৬৯ সালে। ছবি সৌজন্য: নাসা

আর বড়জোর ৯/১০টা বছর। ২০২৮ সালের মধ্যে তো বটেই। ফের চাঁদে যাচ্ছে আমেরিকা। চাঁদের মাটিতে ফের পোঁতা হবে ‘স্ট্যাচু অফ লিবার্টির দেশের পতাকা। পাঠানো হচ্ছে ৩ থেকে ৭ জন মহাকাশচারী। আর তাঁরা এ বার কয়েক ঘণ্টা বা দিনকয়েকের জন্য যাবেন না চাঁদে। চাঁদের জমিনে তাঁরা থাকবেন মাসখানেক বা মাসদু’য়েক। প্রয়োজনে তা ৬ মাসও হতে পারে। তাঁদের কাজ হবে চাঁদের জমিনে সভ্যতা গড়ে তোলার ব্য়বস্থা, নিয়মিত পৃথিবী থেকে চাঁদে যাওয়া-আসার ব্যবস্থা করা।

নাসার চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জিম ব্রিডেনস্টাইন এ সপ্তাহে এই খবর দিয়েছেন সাংবাদিকদের। আজ থেকে ৫০ বছর আগে ‘অ্যাপোলো-১১’ মহাকাশযানে চড়ে তিন মার্কিন মহাকাশচারী গিয়েছিলেন চাঁদে। চাঁদের মাটিতে নেমেছিলেন দুই মার্কিন মহাকাশচারী নিল আর্মস্ট্রং ও বাজ অলড্রিন। সাড়ে ২১ ঘণ্টার জন্য। তাঁরা চাঁদের মাটিতে পুঁতেছিলেন আমেরিকার পতাকা। তুলে নিয়ে এসেছিলেন চাঁদের মাটি। মাইকেল কলিন্স ছিলেন সেই মহাকাশযানের পাইলট।

১৯৬৯ সালে চাঁদে নেমেছিলেন আর্মস্ট্রং, অলড্রিন। দেখুন নাসার সেই ঐতিহাসিক ভিডিয়ো

কিন্তু এ বার অন্য রকম হবে। ব্রিডেনস্টাইন জানিয়েছেন, শুধু জাতীয় পতাকা পুঁতে আর মাটি তুলে এনেই কাজ শেষ হয়ে যাবে না চাঁদের মাটিতে নামা মার্কিন মহাকাশচারীদের। তাঁদের আরও অনেক রকমের জটিল কাজ করতে হবে চাঁদের মাটিতে নেমে। যাতে আগামী দিনে চাঁদে মানুষ পাঠানো যায়। সেখানেও গড়ে তোলা যায় মানুষের থাকার জায়গা। যাতে চাঁদকে ট্রান্সপোর্টেশন হাব হিসেবে গড়ে তুলে সেখান থেকে মঙ্গলের মতো ভিনগ্রহে পাঠানো যায় মহাকাশযান। তাতে ভিনগ্রহ অভিযানের সময় কমবে। কমবে জ্বালানির খরচও।

আরও পড়ুন- ফসল চাঁদের মাটিতে? রহস্যের জট খোলেনি, বলছেন নাসার বিজ্ঞানী

আরও পড়ুন- বিগ ব্যাংয়ের পর ৬০০ লক্ষ কোটি সূর্যের ঝলসানি দেখল নাসা​

নাসার চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের কথায়, ‘‘চাঁদে এ বার আমরা যে কাজটা করতে চলেছি, এখনও পর্যন্ত তা কোনও দেশই করে উঠতে পারেনি। চাঁদকে বাসযোগ্য করে তোলার কাজটা এ বার আমরাই শুরু করব চাঁদে দিয়ে। যাতে মাঝেমধ্যেই মহাকাশযানে চাপিয়ে মানুষ নিয়ে যাওয়া যায় চাঁদে। আবার কিছু দিন পর তাঁদের ফিরিয়ে আনা যায়। ফের নিয়ে যাওয়া যায় অন্যদের। চাঁদে যাওয়া-আসাটা যেন আমাদের কাছে জলভাত হয়ে যায়।’’

চাঁদের মাটিতে নেমে কাজে ব্যস্ত মার্কিন মহাকাশচারী বাজ অলড্রিন। ১৯৬৯ সালে।

ব্রিডেনস্টাইন এও জানিয়েছেন, ফের চাঁদের মাটিতে মহাকাশচারী নামানোর আগে মানুষ ছাড়াই একটি ল্যান্ডার ও রোভার পাঠাবে নাসা, ২০২৪ সাল নাগাদ বা তার কিছু আগে।

ছবি ও ভিডিয়ো সৌজন্য: নাসা

NASA Moon Jim Bridenstine Moon-USA চাঁদ নাসা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy