ছবি- নাসার সৌজন্যে।
এই প্রথম চাঁদে হাঁটবেন কোনও অশ্বেতাঙ্গ। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’র আসন্ন চন্দ্রাভিযান ‘মিশন আর্টেমিস’-এ। এই প্রথম চাঁদের বুকে হাঁটবেন এক মহিলা মহাকাশচারীও।
নাসার তদারকি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর স্টিভ জারসিজ্ক এ কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘৫ দশক পর এ বার ফের যে চন্দ্রাভিযান শুরু করছে নাসা, তাতে ৪ মহাকাশচারী হাঁটবেন চাঁদের বুকে। তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলা। দ্বিতীয় জন অশ্বেতাঙ্গ।’’
আর্টেমিস-সহ বিভিন্ন ধরনের মহাকাশ ও পৃথিবী সংক্রান্ত গবেষণায় আগামী অর্থবর্ষে নাসার জন্য ব্যয়বরাদ্দের প্রস্তাব শুক্রবার কংগ্রেসে পেশ করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। তাতেও উল্লেখ করা হয়, ৫ দশক পর নাসা ফের যে চন্দ্রাভিযান শুরু করতে চলেছে, তাতে এক মহিলা ও এক জন অশ্বেতাঙ্গ থাকবেন। যাঁরা হাঁটবেন চাঁদের বুকে। নাসার আপাতত লক্ষ্য, আর ৩ বছরের মধ্যেই (২০২৪ সাল) চাঁদে ফের মানুষ পাঠানো।
এর আগে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ঘোষণা করেছিল, আসন্ন আর্টেমিস মিশনে অন্যদের সঙ্গে এক মহিলা মহাকাশচারীও হাঁটবেন চাঁদে। বাকিদের মধ্যে যে এক জন অশ্বেতাঙ্গও থাকছেন তা স্পষ্ট হল নাসার তদারকি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জারসিজ্কের ঘোষণা ও কংগ্রেসে নাসার জন্য পেশ হওয়া অর্থবরাদ্দের প্রস্তাবে।
চাঁদের বুকে শেষ যে মহাকাশচারী হেঁটেছিলেন তাঁর নাম ইউজিন কারনান। তিনি ছিলেন নাসার ‘অ্যাপোলো-১৭’ মিশনের কম্যান্ডার। ১৯৭২ সালের ১৪ ডিসেম্বর তিনি হেঁটেছিলেন চাঁদের বুকে। তার পর আর কোনও মানুষের পদক্ষেপ হয়নি চাঁদে।
চাঁদের বুকে মানুষের প্রথম পদক্ষেপের সূচনা হয়েছিল তারও ৩ বছর আগে। ১৯৬৯-এ। সেই বছরের ২০ জুলাই প্রথম চাঁদের বুকে পড়েছিল মানুষের পা। হেঁটেছিলেন নাসার ‘অ্যাপোলো-১১’ মিশনের দুই মহাকাশচারী নিল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন। চাঁদে প্রথম পা ছুঁইয়েছিলেন আর্মস্ট্রং। তার ২০ মিনিট পরে পা ফেলেছিলেন অলড্রিন। ১৯৬৯-এর জুলাই থেকে ১৯৭২-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত নাসার বিভিন্ন মিশনে মোট ১২ জন মহাকাশচারী হেঁটেছেন চাঁদের বুকে। তাঁদের মধ্যে এক জনও ছিলেন না মহিলা, অশ্বেতাঙ্গও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy