Advertisement
০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

মহাকাশে ভেসে বেড়ানো ‘খুলি’ আজ পৃথিবীর কাছাকাছি!

‘ভুতুড়ে’ খুলি ভেসে বেড়াচ্ছে মহাকাশে! মানুষের খুলির মতো!

ছবি-নাসার সৌজন্যে।

ছবি-নাসার সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৫ ১৬:৫০
Share: Save:

‘ভুতুড়ে’ খুলি ভেসে বেড়াচ্ছে মহাকাশে!

মানুষের খুলির মতো!

খুলি তো আর জ্যান্ত জীবের হয় না। তেমনই মহাকাশে ভেসে বেড়ানো খুলিটাও হয়তো আদতে একটা মরা ধূমকেতুর!

মাথায় রাখবেন, ধূমকেতুই একমাত্র মহাজাগতিক বস্তু, যার মাথা ও লেজ- দু’টোই রয়েছে।

ভেসে বেড়ানো ওই খুলিটা আজ বেরিয়ে যাবে পৃথিবীর কান ঘেঁষে! চাঁদ যতটা দূরে রয়েছে আমাদের গ্রহের, তার দেড় গুণেরও কম দূরত্বে থাকবে এ দিন ওই খুলিটা। তিন লক্ষ দু’হাজার মাইল দূর দিয়ে পৃথিবীকে ‘টা টা’ করে বেরিয়ে যাবে সেই খুলি! আবার তিন বছর পর ওই খুলি ফিরে আসবে আমাদের কাছে। ২০১৮-র সেপ্টেম্বরে। তবে ওই সময় খুলিটা আমাদের এত কাছে আসবে না। পৃথিবী থেকে থাকবে দু’কোটি ৪০ লক্ষ মাইল দূরে। যা সূর্য থেকে আমাদের গ্রহের দূরত্বের চার ভাগের এক ভাগ।

নাসার তরফে আজ এ খবর দেওয়া হয়েছে।

প্রথম এর হদিশ মিলেছিল অক্টোবরের দশ তারিখে। মঙ্গল আর বৃহস্পতি গ্রহের মাঝখানে যে সুবিশাল নক্ষত্রপুঞ্জ রয়েছে, সেখানেই তার খোঁজ মিলেছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল-‘টিবি-১৪৫’। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মনা কি-তে বসানো নাসার ইনফ্রারেড টেলিস্কোপ ফেসিলিটি (আইআরটিএফ)-তেই প্রথম হদিশ মেলে মহাকাশে ভেসে বেড়ানো ওই খুলির।

প্রথমে এটিকে নক্ষত্রপুঞ্জের আরও এক সদস্য বলেই ভেবেছিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এখন তাঁদের মনে হচ্ছে, ওই খুলিটা আদতে একটা মরা ধূমকেতুর মাথা।

ধূমকেতুটা মরল কী ভাবে?

এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, বহু কোটি বছর ধরে সূর্যকে চক্কর মারতে মারতে ওই ধূমকেতুটির জ্বালানি শেষ হয়ে যায়। তখন থেকেই সে মরা ধূমকেতু।

আসলে সূর্যের কাছাকাছি এলেই ধূমকেতুর সর্বনাশ! কাছে এলেই সূর্যের জোরালো অভিকর্ষ বল ধূমকেতুর অন্দরের সব জ্বালানিটুকুকে শুষে বের করে নেয়। অনেকটা ব্লটিং পেপারের মতো! তাতেই মৃত্যু হয় ধূমকেতুর।

যার খুলিটাকে বেশ কিছু দিন ধরেই মহাকাশে ভেসে বেড়াতে দেখছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা, এক সময় সেই ধূমকেতুর মৃত্যু হয়েছিল সেই ভাবেই।

নাসা আরও জানিয়েছে, এই মরা ধূমকেতুটি অনেকটা গোলাকার। আকারেও তা বেশ ছোট। ব্যাস হবে মেরেকেটে দু’হাজার ফুট। আমরা অনেকেই এর চেয়ে বড় ফ্ল্যাটে থাকি। নিজের কক্ষপথে এর লাট্টুর মতো ঘুরতে সময় লাগে মাত্র পাঁচ ঘণ্টা। মানে, পৃথিবীর প্রায় পাঁচ ভাগ।

কিন্তু কেন ওই খুলিটাকে নক্ষত্রপুঞ্জের নিছকই এক সদস্য না ভেবে ধূমকেতু বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা?

নাসা জানাচ্ছে, এর কারণ, অন্য ধূমকেতুদের মতোই তার ওপরে পড়া আলোর খুব সামান্য অংশই এই খুলি থেকে প্রতিফলিত হয়। মাত্র ছয় শতাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE