Advertisement
E-Paper

সপ্তাহে একটা করে ক্রেডিট কার্ড তৈরি হতে পারে মানবদেহে! কী করে? জানালেন বিজ্ঞানীরা

একটি নতুন গবেষণায় এই তথ্য জানা গিয়েছে। গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, জল, হাওয়া এবং মাটিতে এমন লক্ষ লক্ষ টন প্লাস্টিককনা ছড়িয়ে রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২৩ ১৮:৩৮

প্রতীকী ছবি।

প্রতি মুহূর্তে আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে প্লাস্টিকের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা। নিশ্বাসের সঙ্গে প্রতি ঘণ্টায় ১৬.২ বিট এমন মাইক্রোপ্লাস্টিক জমা হচ্ছে শরীরের ভিতরে। যা এক সপ্তাহ ধরে একই হারে জমলে তা দিয়ে একটা ক্রেডিট কার্ড বানিয়ে ফেলা যেতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকেরা।

একটি নতুন গবেষণায় এই তথ্য জানা গিয়েছে। গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, জল, হাওয়া এবং মাটিতে এমন লক্ষ লক্ষ টন প্লাস্টিককনা ছড়িয়ে রয়েছে। আরও ভয়ের কথা হল, গবেষকেরা দেখেছেন, এই প্লাস্টিককণার পরিমাণ কমার কোনও লক্ষণই নেই। বরং তা ক্রমেই বিপজ্জনক হারে বেড়েই চলেছে।

২০২২ সালে প্রথম গবেষকেরা জানতে পেরেছিলেন, এই সমস্ত প্লাস্টিককণা নিশ্বাসের মাধ্যমে মানুষের শরীরেও প্রবেশ করতে পারে। তার পর থেকেই এই নিয়ে বাড়তে শুরু করেছে উদ্বেগ। দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তাও। কারণ এই সমস্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ছোট ছোট প্লাস্টিকের কণা শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে ঠিক কী কী সমস্যা তৈরি করতে পারে, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা।

কিছু কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই ধরনের প্লাস্টিককণা শরীরে প্রবেশ করে, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা, প্রদাহের সমস্যা তৈরি করছে। প্লাস্টিককণার মাধ্যমে শরীরে বিষাক্ত পদার্থের পরিমাণ বেড়ে শরীরের কোষ এবং দিনে দিনে নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে পারে বলেও মনে করছে কিছু কিছু গবেষণা। বিশেষ করে নাক, গলা, শ্বাসনালীর কিছু কিছু অংশে এই ধরনের প্লাস্টিককণা জমে সবচেয়ে বেশি, বলছে গবেষণা।

এ সংক্রান্ত গবেষণাটি প্রকাশ করেছেন মহম্মদ এস ইসলাম নামে এক গবেষক। তিনি জানিয়েছেন, গবেষকেরা এখন খতিয়ে দেখছেন, আবহাওয়ার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য কোনও ভাবে বাতাসে ভেসে বেড়ানো এই প্লাস্টিককণাগুলির উপর প্রভাব ফেলছে কি না।

Plastic
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy