আলিপুরদুয়ার বড়বাজারের মাছ বাজারে নারায়ণ দে-র তোলা ছবি
ফলের দোকান থেকে মাছ বাজার— পুর-বিজ্ঞপ্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে ক্যারিব্যাগ। ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আলিপুরদুয়ার শহর প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ-মুক্ত করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। পুরকর্তারা জানান, শীঘ্র বৈঠক ডেকে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধে অভিযান করা হবে। এর আগে ২০১২-এ আলিপুরদুয়ার শহরকে ক্যারিব্যাগ মুক্ত রাখার জন্য অভিযান করেন তৎকালীন পুরসভার কর্তৃপক্ষ। মাস দুই প্লাস্টিকে ব্যবহার কমলেও নজরদারির ঢিলেমিতে ফের শুরু হয়েছে এর অবাধ ব্যবহার।
আলিপুরদুয়ার পুরসভার সিপিএম চেয়ারম্যান অনিন্দ্য ভৌমিক বলেছেন, “স্থায়ী ভাবে ক্যারিব্যাগ বন্ধ করতেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। প্রথম কয়েকটা দিন মাইকে প্রচারও চালানো হয়েছে। তবে জেলা ঘোষণার পরে ব্যস্ততার জন্য প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নিয়ে ব্যবসায়ী, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করে অভিযানে নামা হবে।”
টাউন ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক পরিতোস দাস বলেন, “শুধু বিজ্ঞপ্তি জারি নয়, মাইকে নিয়মিত প্রচার, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ ছাড়া প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার বন্ধ সম্ভব নয়।” শহরের বড়বাজার, বৌবাজার থেকে নিউ টাউন বাজার জিনিস কিনলে তা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগে দেওয়া হচ্ছে ক্রেতার হাতে। বড়বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, “ক্যারিব্যাগ বন্ধ করা হলে ক্রেতাদের হাতে মাছ তুলে দেব কী করে? আর পুরসভা কবে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বন্ধের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে তা জানি না তো!”
প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার বন্ধ না হওয়ার জন্য অবশ্য পুরসভাকেই দায়ী করছেন স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীরা। আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাব চেয়ারম্যান অমল দত্ত বলেন, “ক্যারিব্যাগ বন্ধের দায়িত্ব পুরসভার। কিন্তু তারা যে সেই কাজ দায়সারা ভাবে করছে, তা তো দেখাই যাচ্ছে। আলিপুরদুয়ারের নতুন জেলা শাসকের কাছে আমরা প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধ করার দাবি জানাব।” তৃণমূল নেতা জহর মজুমদারও বলেন, “বাম পরিচালিত পুরসভা ব্যবসায়ীকে তুষ্ট করতে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নিয়ে পদক্ষেপ করছে না। তাই আমরা চাই পুরসভা বিজ্ঞপ্তি মতো ব্যবস্থা নিক।” এ প্রসঙ্গে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান আরএসপির গৌতম তালুকদার বলেন “ব্যবসায়ীদের তুষ্ট রাখার বিষয় নেই। জুলাই মাসের মাঝামাঝি কনভেনশন ডেকে জেলায় প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধ করতে পদক্ষেপ করা হবে।”
আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “ব্যবহার করা প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ও গ্লাস নর্দমায় আটকে থাকে। এতে বর্ষায় নিকাশির সমস্যা হয়। পুরসভা দ্রুত পদক্ষেপ না করলে শহরের সমস্যা বাড়বে।”
সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু মহিলার
ঘরের কাজ করার সময়ে সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। সোমবার সকালে গোঘাটের বহরামবাটির বাসিন্দা গীতা মালিক (৪৫) নিকাশি-নালার গায়ে গোবর লেপছিলেন। সেই সময়েই একটি সাপ তাঁকে দংশন করে বলে পুলিশ জানায়। পরিবারের লোকজন তাঁকে আরামবাগ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy