হনুমানের কামড়ে আহত হলেন ছয় গ্রামবাসী। আহতদের মধ্যে এক মহিলা-সহ দু’জন হাসপাতালে ভর্তি। স্বভাবতই হনুমানের আতঙ্কে রয়েছেন নন্দকুমার থানার বেতকল্লা ও বিরিঞ্চিবসান গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। বন দফতরের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
নন্দকুমার ব্লকের ব্যবত্তারহাট পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পাশাপাশি দুই গ্রাম বেতকল্লা ও বিরিঞ্চিবসান। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে একাধিক হনুমান দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদেরই একটি আচমকা গ্রামবাসীদের কামড়ে দিচ্ছে। ওই হনুমানের কামড়ে বেতকল্লা গ্রামের ২ জন ও বিরিঞ্চিবসানের ৪ জন আহত হয়েছেন। মহাদেব খাঁড়া ও পারুল দাস নামে দু’জন গুরুতর আহত হয়ে তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গ্রামবাসী গোপাল মহাপাত্র, রাজেন দাস বলেন, ‘‘মাসখানেক আগে এলাকায় থাকা একটি হনুমান তাঁর বাচ্চাকে নিয়ে একগাছ থেকে আর একগাছে লাফিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাচ্চা হনুমান নিচে মাটিতে পড়ে যায়। ওই বাচ্চা হনুমানকে একটি কুকুর মেরে ফেলে। আর এরপরেই ওই বড় হনুমান একের পর এক গ্রামবাসীদের আক্রমণ করে কামড়ে দিচ্ছে।’’ হনুমানের কামড়ে আহত হয়েছে ওই গ্রামের বাসিন্দা অনুমপ মান্না, বাঁশরী কুইল্যা। পাশের বেতকল্লা গ্রামের বাসিন্দা মহাদেব খাঁড়া, পারুল দাস গত পরশু হনুমানের কামড় খেয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন।
হনুমানের তাণ্ডবে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অনেকেই লাঠি হাতে পথে বেরোচ্ছে। বিশেষত ছোট ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলার বন আধিকারিক শ্যামলকুমার চক্রবর্তী মঙ্গলবার বলেন, ‘‘নন্দকুমারের দুটি গ্রামে হনুমানের কামড়ে কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। ওই এলাকায় থাকা হনুমানটির একটি বাচ্চা মারা যাওয়ার পরে সে এভাবে আক্রমণ করছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা ওই হনুমানকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’’