বাংলা শব্দ ভাণ্ডার
ভাষা হিসাবে বাংলা অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এই সমৃদ্ধির মূলে রয়েছে বাংলার বিস্তৃত শব্দ-ভাণ্ডার। বিভিন্ন ভাষার শব্দ গ্রহণে এবং আত্মীকরণে বাংলা ভাষা অত্যন্ত উদার। তবে, সেই ঔদার্য মূলত শব্দ-ভাণ্ডার পর্যায়েই সীমিত। ব্যবহারিক ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা সবসময়েই নিজস্ব বিন্যাসরীতিই অনুসরণের পক্ষপাতী। অথচ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক কারণে বিবিধ ভাষার শব্দ বাংলা ভাষার অন্দরে প্রবেশ করেছে। সেই কারণেই বাংলা ভাষার সেই শব্দেকে মোট ৩টি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে —
মৌলিক শব্দ — তদ্ভব শব্দ, তৎসম শব্দ, অর্ধতৎসম শব্দ
আগন্তুক শব্দ — দেশি শব্দ, বিদেশী শব্দ, প্রাদেশিক শব্দ
নব্যগঠিত শব্দ — অবিমিশ্র শব্দ, মিশ্র শব্দ
মৌলিক শব্দ: মনে করা হয়, বাংলা ভাষা অত্যন্ত প্রাচীন একটি ভাষা। সময়ের সঙ্গে যে ভাষার নিজের মতো করে বিবর্তন ঘটেছে। প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা থেকে যে শব্দগুলি অবিকৃতভাবে বাংলায় এসেছে বা প্রাকৃতের মধ্য দিয়ে স্বল্প রূপান্তরিত হয়ে সেগুলিকেই বাংলার শব্দ ভাণ্ডারে মৌলিক শব্দ হিসেবে পরিচিত।
মৌলিক শব্দগুলিকে মোট তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। যেগুলি হল —
আগন্তুক শব্দ: যে শব্দগুলি বাইরের বিভিন্ন গোষ্ঠী থেকে গ্রহণ করা হয়েছে সেই শব্দগুলিকে বলা হয় আগন্তুক শব্দ। আগন্তুক শব্দকে মোট ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়। যেগুলি হল —
নবগঠিত শব্দ: বাংলা শব্দ ভাণ্ডারে এমন কিছু শব্দ আছে, সেগুলি আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের স্বার্থে নিজেরাই সৃষ্টি করে নিয়েছি। যেমন — বনচাড়াল, আবহাওয়া, ডাক্তার-বদ্যি, অফিস পাড়া ইত্যাদি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy