বর্ষাকালে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হবে আর বাঙালির পাতে খিচুড়ি পড়বে না, তা কি হয়! বর্ষাটা যে জমিয়ে পড়েছে, এ কথা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না মোটেও। তবে ইতিউতি বেশ জমিয়ে বৃষ্টিও হচ্ছে। তাই এই বেলাই সুযোগ বুঝে বানিয়ে ফেলা যাক খিচুড়ি। সঙ্গে না হয় থাকুক টুকিটাকি ভাজাভুজি। তাই আপনাদের সকলের জন্য চলছে খিচুড়ি পার্বণ। পর পর চার দিন থাকছে চারটি জমাট খিচুড়ির রেসিপি। পড়ুন, সবাইকে পড়ান। আর এতেই শেষ নয়। শত ব্যস্ততার মাঝেও রান্নাঘরে একটি বার ঢুকে হাতা-খুন্তি নেড়ে বানিয়েই ফেলুন খিচুড়ি।
উপকরণ:
বাসমতি চাল— আড়াই কাপ
সোনামুগ ডাল— আধ কাপ
মুসুর ডাল— আধ কাপ
মটর ডাল— আধ কাপ
ছোলার ডাল— আধ কাপ
বিউলির ডাল— আধ কাপ
কাঁচা লঙ্কা— ৫-৬টি
পেঁয়াজ— ২টি
ধনে পাতা— এক আঁটি
রসুন— ৩-৪ কোয়া
আদা— এক টুকরো (২ ইঞ্চি মাপের)
হলুদ গুঁড়ো— আধ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো— ১ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো— ১ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো— ১ চা চামচ
গোটা গরম মশলা— ২ চা চামচ
তেজ পাতা— ৩-৪টি
নুন— স্বাদ মতো
চিনি— ১ চা চামচ
ঘি— আধ কাপ
দুধ— আধ কাপ
প্রণালী:
পেঁয়াজ কুচিয়ে দুধে ভিজিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা। কড়াইয়ে ঘি গরম করুন। দুধ থেকে ছেঁকে পেঁয়াজ তুলে নিয়ে কড়াইয়ে দিন। পেঁয়াজ লালচে আর মুচমুচে করে ভেজে তুলে রাখুন। শুকনো খোলায় সোনামুগ ডাল ভেজে তুলে রাখুন। একটি বড় বাটিতে চাল, সোনামুগ ডাল, মটর ডাল, মুসুর ডাল, ছোলার ডাল, বিউলির ডাল, নুন, চিনি, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, আদা বাটা, রসুন বাটা আর ঘি একসঙ্গে মাখিয়ে নিন। কড়াইয়ে অল্প ঘি দিয়ে তেজ পাতা আর গোটা গরমমশলা ফোড়ন দিন। তাতে এ বার মশলা মাখানো চাল-ডাল একসঙ্গে দিয়ে নাড়তি থাকুন। মিনিট পাঁচেক নেড়েচেড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে গরম জল দিয়ে ঢাকা দিন। জল ফুটে চাল ও ডাল সেদ্ধ হয়ে এলে ঢাকনা খুলে ভেজে রাখা পেঁয়াজ, চেরা কাঁচা লঙ্কা আর ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে আবার চাপা দিন। মিনিট দশেক পরে আবার চাপা খুলে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। উপর থেকে ঘি ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন পাঁচ মেশালি ডালের খিচুড়ি। সঙ্গে থাকুক মুচমুচে করে ভাজা হরেক রকম সব্জি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy