Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কাশ্মীর প্রসঙ্গে আফ্রিদিকে পাল্টা তোপ গম্ভীরের

ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার পরেও গৌতম গম্ভীর আর শাহিদ আফ্রিদির মধ্যে টক্কর লেগেই আছে।

যুযুধান: টুইটারে আফ্রিদিকে একহাত নিলেন গম্ভীর। ফাইল চিত্র

যুযুধান: টুইটারে আফ্রিদিকে একহাত নিলেন গম্ভীর। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৯ ০৫:০৬
Share: Save:

নিজেদের ক্রিকেটজীবনে তাঁদের মধ্যে লড়াই লেগেই থাকত। কোনও সময় দেখা যেত ব্যাট ও বলের দ্বৈরথ, কোনও সময়ে শুরু হয়ে যেত বাগ্‌যুদ্ধ।

ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার পরেও গৌতম গম্ভীর আর শাহিদ আফ্রিদির মধ্যে টক্কর লেগেই আছে। প্রায়ই দেখা যায়, এই দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার একে অন্যের উদ্দেশে আগুনে টুইট করছেন বা সংবাদমাধ্যমে বিরুপ মন্তব্য করছেন। এই রেষারেষির সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল, কাশ্মীর নিয়ে দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারের টুইট-যুদ্ধ।

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ কার্যত রদ করানোর প্রস্তাব রাজ্যসভায় পাশ হয়ে যাওয়ার পরে আফ্রিদি দাবি তুলেছিলেন, কাশ্মীরের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক রাষ্ট্রপুঞ্জ। পাকিস্তানের প্রাক্তন অলরাউন্ডার টুইট করেছিলেন, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের নীতি অনুযায়ী কাশ্মীরিদের ব্যক্তিগত অধিকারকে সম্মান জানাতেই হবে। আমাদের সবার মতো ওদেরও ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ তৈরি করা হয়েছিল কেন? আর ওরা কি এখন ঘুমিয়ে আছে?’’ এতেই শেষ নয়। আফ্রিদি আরও লিখেছেন, ‘‘কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়া কাশ্মীরে মানবতার বিরুদ্ধে যে আগ্রাসন আর অপরাধ ঘটে চলেছে, তা সবাইকে জানতে হবে। পোটাসকে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট) মধ্যস্থতা করতেই হবে।’’

আফ্রিদির এই টুইট সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায়। এর পরেই আসে গম্ভীরের পাল্টা টুইট। সেখানে তিনি একপ্রকার আফ্রিদিকে ধন্যবাদ জানিয়েই বলেছেন, ‘‘ওহে, অত ভেবো না ছেলে। সব কিছু ঠিক করে দেব!’’

নিজের টুইটে কী বলতে চেয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার এবং বর্তমান সাংসদ? গম্ভীরের পুরো টুইটটা এ-রকম: ‘‘আফ্রিদি কিন্তু একেবারে ঠিক কথাই বলেছে। সত্যি, ‘বিনা প্ররোচনাতেই আগ্রাসন’ এবং ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ ঘটে চলেছে। এই কথাগুলো বলার জন্য আফ্রিদির প্রশংসা করতেই হবে। তবে একটা জিনিস ও বলতে ভুলে গিয়েছে। সেটা হল, এই সব ঘটনা ঘটছে ‘পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে’। অত ভেবো না হে ছেলে। সব কিছু ঠিক করে দেব!’’ কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরেই ওয়াঘা সীমান্তের এ-পার, ও-পার থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। ভারতীয় ক্রিকেটার থেকে শুরু করে এ দেশের ক্রীড়াবিদদের একাংশও প্রশংসা করেছেন এই সিদ্ধান্তের। অন্য দিকে, আফ্রিদির মতো বেশ কয়েক জন পাক ক্রিকেটার দাবি তুলেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপের। কিন্তু গম্ভীর বা আফ্রিদির মতো সরাসরি টুইট যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েননি কেউ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE