Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Daren Sammy

লিলিদের ছাড়, ‘ব্ল্যাক’ বাহিনীকে আটকাতেই বাউন্সারে কোপ, বিধ্বংসী স্যামি

এই প্রসঙ্গে ‘ফায়ার ইন ব্যাবিলন’ নামে এক তথ্যচিত্রের উল্লেখ করেছেন স্যামি। যাতে ১৯৭০ ও ১৯৮০ সালের বিধ্বংসী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের দাপটের ছবি রয়েছে।

বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন স্যামি। ছবি: এপি।

বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন স্যামি। ছবি: এপি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২০ ১০:৫২
Share: Save:

ক্রিকেটের বাউন্সার দেওয়ার নিয়মে বর্ণবৈষম্যের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। তাঁর মতে, ক্যারিবিয়ান বোলারদের দাপট কমানোর উদ্দেশ্যেই বাউন্সারে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল।

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে আরও বেশি করে উত্তাল সারা বিশ্ব। টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক স্যামিও সরব হয়েছেন ক্রিকেটে বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে। বলেছেন, আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলার সময় তাঁর সঙ্গে হওয়া এই ধরনের আচরণের কথা। ‘ইনসাইড আউট’-এর এক এপিসোডে স্যামি ক্রিকেটে বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে ফের বলেছেন। দাবি করেছেন, বাউন্সারে বিধিনিষেধের নিয়মের জন্মের নেপথ্যেও রয়েছে বর্ণবৈষম্য।

আরও পড়ুন: সে দিন নিজের জন্য খেলছিলাম: মদন লাল।। রিচার্ডস-লয়েডের জন্য আলাদা পরিকল্পনা ছিল: রজার বিনি

এই প্রসঙ্গে ‘ফায়ার ইন ব্যাবিলন’ নামে এক তথ্যচিত্রের উল্লেখ করেছেন স্যামি। যাতে ১৯৭০ ও ১৯৮০ সালের বিধ্বংসী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের দাপটের ছবি রয়েছে। তিনি বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়ার জেফ টমসন-ডেনিস লিলি এবং অন্যরাও জোরে বল করত, ব্যাটসম্যানদের আহত করত। কিন্তু যেই একটা কালো দল বিধ্বংসী হয়ে উঠল, তখনই বাউন্সারের নিয়ম চালু হল। আমার কাছে এটা হল কৃষ্ণাঙ্গ একটা দলের সাফল্যকে আটকে দেওয়ার প্রচেষ্টা। আমার ভুল হতেই পারে, কিন্তু আমি এ ভাবেই দেখছি। আর এটা করা উচিত হয়নি।” জর্জ ফ্লয়েডের ঘটনা নিয়ে স্যামি বলেছেন, “হাঁটু গেড়ে অবস্থায় ঘাড়ে পা দিয়ে চেপে থাকার ঘটনা অনেক কিছু মনে করাচ্ছে। এটা আমার কাছে প্রতীকী ছবি যে ভাগ্যবিড়ম্বিতদের শ্বাসরুদ্ধ করে তুলছে ক্ষমতাসীনরা।”

আরও পড়ুন: ‘আমি ওই মহিলার সঙ্গে ডেটে যেতে চাই’, এই ছবি দেখিয়ে বললেন সৌরভ​

ঘটনা হল, সত্তর-আশির দশকে ক্যারিবিয়ান দলের বিশ্ব জুড়ে শাসনের নেপথ্যে ছিলেন পেসাররা। তাঁদের হাতে বড় অস্ত্র হয়ে উঠেছিল বাউন্সার। এই পরিস্থিতিতে ১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল প্রত্যেক ওভারে প্রত্যেক ব্যাটসম্যানকে একটাই বাউন্সার দেওয়ার নিয়ম চালু করেছিল। কিন্তু সেই নিয়ম ভাল ভাবে নেননি ক্রিকেটার-আম্পায়াররা। ১৯৯৪ সালে আইসিসি ওভার প্রতি দুটো বাউন্সারের নিয়ম চালু করে। নিয়ম ভাঙলে পেনাল্টি ছিল দুই রান। ২০০১ সালে এক দিনের ক্রিকেটে ওভারপ্রতি একটা বাউন্সারের নিয়ম চালু হয়। নিয়ম ভাঙলে নো-বল হিসেবে এক রান পেত ব্যাটিং দল। ২০১২ সালে সেটাই দাঁড়ায় ওভারপ্রতি দুটো বাউন্সার। ফলে, টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে ওভারে দুটোর বেশি বাউন্সার দেওয়া যাবে না। তবে টি-টোয়েন্টিতে ওভারপ্রতি একটার বেশি বাউন্সার দেওয়ার নিয়ম নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE