কেরলে কি ফিরবে পুরনো স্মৃতি? প্রিয় ক্লাবের জন্য প্রার্থনায় বসছেন মুশা। ফাইল ছবি
৩০ এপ্রিল, ২০০১। প্রায় ১৮ বছর আগে কেরল থেকে প্রথম বার জাতীয় লিগ এনেছিল ইস্টবেঙ্গল। ৯ মার্চ, ২০১৯। ফের কেরলের মাটিতেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি লাল-হলুদ ব্রিগেডের সামনে।
সে বার ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ ছিল এসবিটি (স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ত্রাভাঙ্কোর)। শনিবার কোঝিকোড়ে গোকুলম-বাধা টপকাতে পারলেই স্পেনের কোচ আলেসান্দ্রো মেনেনদেজের হাতে শোভা পাবে আই লিগ।
শুক্রবার সকালে ইস্টবেঙ্গল-ব্রিগেড শহর ছাড়ে। দুপুর নাগাদ পৌঁছে যায় কোঝিকোড়ের হোটেলে। মেগা ম্যাচের জন্য মানসিক ভাবে নিজেদের তৈরি করছেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। মেনেনদেজের ছেলেরা বুঝতে পেরে গিয়েছেন, শেষ ম্যাচের গুরুত্ব। সমর্থকদের যন্ত্রণা তাঁরা উপলব্ধি করতে পারছেন।
আই লিগের জন্য অনন্ত অপেক্ষা করেছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। শেষ বার ইস্টবেঙ্গল জাতীয় লিগ জিতেছে ২০০৩-০৪ মরসুমে। তার পরে গঙ্গা দিয়ে গড়িয়ে গিয়েছে অনেক জল। জাতীয় লিগ নাম বদলে হয়েছে আই লিগ। ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।
আরও পড়ুন: ‘ইস্টবেঙ্গলকে চ্যাম্পিয়ন করার আরও একটা সুযোগ দিয়েছেন ঈশ্বর’
আরও পড়ুন: ভক্তদের গান শুনে আপ্লুত আলেসান্দ্রোর চোখে স্বপ্ন
এ বার সমীকরণ কঠিন মেনেনদেজের দলের জন্য। নিজেরা জিতলেই চলবে না। কোয়ম্বত্তূরে চেন্নাই সিটিকে পয়েন্ট হারাতে হবে মিনার্ভা পঞ্জাবের বিরুদ্ধে।
ইস্টবেঙ্গলের পরীক্ষা কতটা কঠিন? গোকুলমের হাইতিয়ান ফুটবলার ফ্যাবিয়েন ভোরবে আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের উপরেই চাপ বেশি।’’ কারণ ব্যাখ্যা করে সনি নর্দের বন্ধু বলছেন, ‘‘আমার কাছে ফেভারিট অবশ্যই চেন্নাই। প্রথম থেকে ওরা আই লিগ নিয়ন্ত্রণ করেছে। এই মুহূর্তে আই লিগের শীর্ষে চেন্নাই। দলের ভারসাম্য রয়েছে। ইস্টবেঙ্গল কী করছে, তার উপরে চেন্নাই নির্ভরশীল নয়। ম্যাচ জিতলে চেন্নাই চ্যাম্পিয়ন।’’
ইস্টবেঙ্গলের প্রথম বার জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম নায়ক সুলে মুশা এনরিকে-কোলাডোদের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ঘানা থেকে। দীর্ঘদেহী স্টপার সে দিন বুক চিতিয়ে লড়েছিলেন এসবিটি-র বিরুদ্ধে। পাশে পেয়েছিলেন তাঁর হার না মানা মনোভাবাপন্ন সতীর্থদের।
ইস্টবেঙ্গলকে জেতানোর পরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। পিছনে তাকিয়ে মুশা বলছেন, ‘‘সে বার আমরা প্রথম বার জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন হই। যা আনন্দ হয়েছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না! হোটেলে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা আমাদের দারুণ ডিনারের বন্দোবস্ত করেছিলেন।’’ এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলেই মুশা এখনকার লাল-হলুদ ফুটবলারদের পরামর্শ দিয়ে বলছেন, ‘‘সামনে কঠিন ম্যাচ। যাবতীয় সমস্যার কথা মাথা থেকে সরিয়ে ফেল তোমরা। আমার মাতৃসমা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্য তোমরা নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দাও। সমর্থকরা এই একটা খেতাবের জন্য দীর্ঘ দিন অপেক্ষায় রয়েছে। সমর্থকরা কাল জয় ইস্টবেঙ্গল বলে আমার ভাইদের তাতাক। এটাই আমি দেখতে চাই।’’
মুশার মতোই অগুনতি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মন পড়ে থাকবে কেরলে। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির অপেক্ষায় লাল-হলুদ বিশ্ব।
(মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল থেকে এটিকে। কলকাতা ডার্বি, আইলিগ থেকে আইএসএল, কলকাতা ময়দানের সমস্ত খবর জানতে পড়ুন আমাদের খেলা বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy