বিনা রিজার্ভেশনে ট্রেনে যাতায়াত করা থেকে বিমানের বিজনেস ক্লাসে উঠে পড়ার স্বপ্নপূরণ!
ডরমিটরির মাটিতে গদি পেতে ঘুমোনোর অভিজ্ঞতা থেকে পাঁচতারা হোটেলের বিছানায় শোয়া। মহিলা ক্রিকেটের বিবর্তনকে এ ভাবেই ব্যাখ্যা করছেন ঝুলন গোস্বামী। ২০০২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবনে বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী তিনি। সে সব নিয়েই লিখলেন আইসিসি-র ওয়েবসাইটে। ওয়ান ডে ক্রিকেটে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া একমাত্র ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। তবুও আগামী ৯ নভেম্বর থেকে শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে উৎসাহী তিনি। ঝুলন লিখেছেন, ‘‘আমার মনে পড়ে, ২০০৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলার সময় আমাদের বাঙ্কে শুতে দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় স্তরে খেলতে যাওয়ার সময় রিজার্ভেশন ছাড়াই ট্রেনে করে যেতে হয়েছে। এমন মাঠে খেলেছি, যেখানে চোট পাওয়ার সম্ভাবনা একশো শতাংশ।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘জুনিয়র প্রতিযোগিতায় খেলার সময় ডরমিটরির মাটিতে গদি পেতেও রাত কাটাতে হয়েছে। সেই সময়ের কথা ভাবলে থেকে মেয়েদের ক্রিকেটে বিশাল পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে।’’
এত দিন পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাশাপাশিই চলত মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এ বারই প্রথম আলাদা সময়ে আলাদা জায়গায় হতে চলেছে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ঝুলন মনে করেন, এ বারই পুরুষদের ক্রিকেটের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ। ঝুলন লিখেছেন, ‘‘২০০৯ থেকে প্রত্যেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছি। পুরুষদের বিশ্বকাপের সঙ্গেই চলত আমাদের প্রতিযোগিতা। এটা বলা উচিত নয় যে, কেউ দেখত না বা আমরা প্রচার পেতাম না। ভালই ভিড় হত আমাদের খেলা দেখার জন্য। তবুও পুরুষদের বিশ্বকাপ চলাকালীন আমাদের প্রতিযোগিতা হত বলে কিছুটা প্রচারের বাইরে চলে যেতাম।’’
এমনকি, সেমিফাইনালের আগে মেয়েদের বিশ্বকাপের ম্যাচ সম্প্রচারই করা হত না। ‘‘আমাদের যতটা প্রচার পাওয়া উচিত ছিল, ততটা পাইনি। বিশ্বকাপের কথা সেমিফাইনালের আগে কেউ তো জানতেই পারত না। কারণ, সেমিফাইনাল থেকেই সম্প্রচার করা শুরু হত,’’ লিখেছেন ঝুলন।
পাল্টে যাওয়া জীবনের উপরে আলোকপাত করে ঝুলন আরও লিখছেন, ‘‘ট্রেনে হুড়োহুড়ির মধ্যে সহযাত্রীর সঙ্গে লড়াই করে বসার জায়গা দখল করার বদলে সতীর্থদের সঙ্গে জানলার ধারে বসা নিয়ে শুরু হল লড়াই। পাল্টে গেল আমাদের জীবন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy