রোনাল্ডোর পায়ের জাদুতে ছিটকে যাচ্ছেন অ্যাটলেটিকোর ফুটবলাররা। ছবি: এএফপি।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পক্ষেই বোধহয় এ রকম স্কিল দেখানো সম্ভব! অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পাঁচ-পাঁচ জন ফুটবলারকে অবলীলায় কাটিয়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন ‘সিআর ৭’।
ভাগ্য তাঁর সহায় না হওয়ায় সেই কামানদাগা গড়ানে শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। জুভেন্তাসের প্রাণভোমরার শটটা যদি অ্যাটলেটিকোর জালে জড়াত, তা হলে শেষ হাসি হাসত ইতালির বিখ্যাত ক্লাবটিই।
ইনজুরি টাইমে অ্যালেক্স স্যান্ড্রোর কাছ থেকে বলটা যখন পান রোনাল্ডো, তখন তাঁকে ঘিরে ধরেছেন চার জন অ্যাটলেটিকো ফুটবলার। রোনাল্ডো বলটা ধরেই তাঁর পায়ের জাদুতে চার জনকে বোকা বানান। অ্যাটলেটিকোর পেনাল্টি বক্সের ভিতরে বিখ্যাত স্টেপ ওভারে আরও এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। সেই যাত্রায় গোল হয়নি। হতাশায় রোনাল্ডোকে মাথায় হাত দিতে দেখা যায়। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জুভেন্তাস ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ম্যাচ ২-২ গোলে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: ‘বিরাট’ জয়ের সৌরভে মিশে রয়েছে উদ্বেগ, এক নজরে মোহালির টি টোয়েন্টি
আরও পড়ুন: ফের ব্যর্থ পন্থ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ধোনিকে ফেরানোর ডাক
আগের রাতেও মেসির বার্সেলোনা ড্র করেছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে। মেসিও গোল পাননি। রোনাল্ডোও পারলেন না। অথচ এমনটা যে হবে, তা ফুটবলভক্তরাও অনুমান করতে পারেননি। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ যে পর্তুগিজ মহাতারকার অন্যতম প্রিয় প্রতিপক্ষ! এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে সাত গোল করেছেন রোনাল্ডো। দিয়েগো সিমিওনে অ্যাটলেটিকোর কোচ হয়ে আসার পর রোনাল্ডো দেড় ডজন গোল করেছেন। গোলকিপার জান ওবলাকের বিরুদ্ধেই রোনাল্ডোর ১১টি গোল রয়েছে। সেই রোনাল্ডো ব্যর্থ হলেন।
প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। ৪৮ মিনিটে কলম্বিয়ান তারকা হুয়ান কুয়াদ্রাদো গোল করেন জুভেন্তাসের হয়ে। ৬৫ মিনিটে মাতুইদি ব্যবধান বাড়ান। দু’ গোল হজম করার পরে অ্যাটলেটিকো জেগে ওঠে। ৭০ মিনিটে সেট পিস থেকে হেড করে ব্যবধান কমান অ্যাটলেটিকোর সেন্টার ব্যাক স্টেফান স্যাভিচ। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে হেক্টর হেরেরা দুর্দান্ত গোল করে সমতা ফেরান। খেলার একেবারে শেষ লগ্নে রোনাল্ডোর ম্যাজিক। তবুও ম্যাচ জিততে পারল না জুভেন্তাস। গোলও পেলেন না পর্তুগিজ মহাতারকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy