Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ছ’ম্যাচ সাসপেন্ড জবি, ফের হবে কাশ্মীরের খেলা

ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির মঙ্গলবারের সিদ্ধান্তে ফলে আই লিগে শনিবারের শেষ ম্যাচে তো নয়ই, সুপার কাপের প্রথম তিন ম্যাচেও খেলতে পারবেন না কেরলের এই স্ট্রাইকার।

নির্বাসিত জবি। ধাক্কা লাল-হলুদ শিবিরে। ছবি: এএফপি

নির্বাসিত জবি। ধাক্কা লাল-হলুদ শিবিরে। ছবি: এএফপি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯ ০৬:০৩
Share: Save:

মাঠে অভব্য আচরণের জন্য ছয় ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড হলেন ইস্টবেঙ্গলের তারকা জবি জাস্টিন। পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানাও হয়েছে তাঁর।

ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির মঙ্গলবারের সিদ্ধান্তে ফলে আই লিগে শনিবারের শেষ ম্যাচে তো নয়ই, সুপার কাপের প্রথম তিন ম্যাচেও খেলতে পারবেন না কেরলের এই স্ট্রাইকার। আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের দল ভুবনেশ্বরের প্রতিযোগিতায় ফাইনালে উঠলেই খেলার সুযোগ পেতে পারেন জবি। শাস্তি ঘোষণার পর দিল্লিতে ফোনে ধরা হলে জবি বলে দিলেন, ‘‘জীবনে কখনও এ ভাবে শাস্তির মুখে পড়িনি। খুবই খারাপ লাগছে। পুরোটাই দুর্ঘটনা। ভুল করে ফেলেছি।’’ আপনি কি শাস্তি কমানোর আবেদন করবেন? জবি বললেন, ‘‘সেটা এখনও ঠিক করিনি। কলকাতায় ফিরে ক্লাবের সঙ্গে কথা বলব।’’ কিন্তু ফুটবল হাউসের খবর, জবি যে অন্যায় করেছেন, তাতে ফিফার আইন খুব কড়া। আবেদন করলেও শাস্তি কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। জবি বিপক্ষের তিন জন ফুটবলারকে থুতু দিয়েছিলেন। যা স্পষ্ট দেখা গিয়েছে ভিডিওতে।

তবে ঊষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির এ দিনের জবিকে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত বেশ চমকপ্রদ। কারণ এই ঘটনায় রেফারি আইজলের করিম ওমোলোজার নাম তাঁর রিপোর্টে দিলেও জবির নাম তাতে ছিল না। আইজলের পক্ষ থেকে দুটি ভিডিয়ো তুলে দেওয়া হয়েছিল ফেডারেশনের কাছে। তা দেখেই জবিকে শাস্তি দিয়েছে কমিটি। তবে আইজলের করিম ওমোলোজাকেও একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ছয় ম্যাচ সাসপেন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এই বিদেশিকে। তিনিও লালকার্ড দেখেছিলেন ইস্টবেঙ্গল-আইজল ম্যাচে। তবে আরও বড় শাস্তি পেয়েছেন গোকুলমের ফিলিপ ডি কাস্টো। তিনি বিপক্ষের ফুটবলারকে নন, সরাসরি রেফারিকেই থুতু দিয়েছিলেন। তিনি এক বছরের জন্য সাসপেন্ড, সঙ্গে দু’লাখ টাকা জরিমানা। জবি, ওমোলোজা এবং ডি’ কাস্টো এ দিন দিল্লিতে নিজের বক্তব্য জানাতে এসেছিলেন শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সামনে। সূত্রের খবর, তিন জনই নিজেদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। এবং ক্ষমাও চেয়েছেন।

এ দিন জবি নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি ইস্টবেঙ্গলের স্পনসর কর্তারা। তবে সূত্রের খবর, জবির এই কাজে খুশি নন আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস। এ দিন ইস্টবেঙ্গলের কোনও অনুশীলন ছিল না। আজ, বুধবারও বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে এনরিকে এসকুয়েদাদের। টানা ম্যাচ বলে ফুটবলারদের বিশ্রাম দিতে চাইছেন লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ। বৃহস্পতিবার থেকে ফের গোকুলম ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু হবে। শুক্রবার কোঝিকোড়ে উড়ে যাবে দল।

এ দিকে জবিদের শাস্তির মতো আরও চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত এ দিন নেওয়া হয়েছে দিল্লির ফুটবল হাউস থেকে। ভেস্তে যাওয়া রিয়াল কাশ্মীর বনাম মিনার্ভা এফ সি-র ম্যাচ রিপ্লে দেওয়া হয়েছে। ৬ মার্চের পর যে কোনওদিন খেলাটি হতে পারে। কোথায় খেলা হবে তা জানতে চাওয়া হয়েছে কাশ্মীরের কর্তাদের কাছে। দিল্লিতে ম্যাচটি হলেও হতে পারে। আই লিগের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সুনন্দ ধর বললেন, ‘‘এই ম্যাচের ফল তো খেতাবে কোনও প্রভাব ফেলছে না। ওটা কাশ্মীরের হোম ম্যাচ ছিল। ওরা যেখানে চাইবে সেখানে খেলা হবে।’’

কাশ্মীরে অস্থিরতার জন্য মিনার্ভা নির্ধারিত দিনে ম্যাচ খেলতে শ্রীনগর যায়নি। তবে সে দিন ম্যাচ কমিশনার ও রিয়ালের ফুটবলাররা উপস্থিত ছিলেন মাঠে। কিছু দর্শকও এসেছিলেন। ধরে নেওয়া হয়েছিল কাশ্মীর ‘ওয়াকওভার’ পাবে। তিন পয়েন্ট ও তিন গোলের সুবিধা পাবে ডেভিড রবার্টসনের দল। কিন্তু সেটা হল না। ম্যাচ নতুন করে করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল মিনার্ভা। তাদেরই জয় হল। পঞ্চকুল্যা থেকে ফোনে রঞ্জিত বাজাজ বললেন, ‘‘ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আমাদের অনুরোধ করা হয়েছিল এই ম্যাচটির যখন কোনও গুরুত্ব নেই তখন এটা নিয়ে আর হইচই না করতে। আমরা রাজি হইনি। জয় হল আমাদেরই।’’ সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর পুরো বিষয়টি লিগ কমিটি পাঠিয়েছিল কর্মসমিতির কাছে। তারাই ম্যাচ ফের নতুন করে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিটির এক কর্তা বললেন, ‘‘মিনার্ভা নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় খেলতে চায়নি। মানে ‘রিফিউজ টু প্লে’। ওয়াকওভার দিয়ে দিলে আদালতে সমস্যা হত। তাই ম্যাচটি দেওয়া নতুন করে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Football Jobby Justin East Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE