শেষ মুহূর্তে কাভানির গোলের পর উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স।
দেশের মাটিতে উরুগুয়ের কাছে খারাপ হার রাশিয়ার। শুরুটা যে ভাবে দাপটের সঙ্গে করেছিল রাশিয়ানরা সেটা দেখা গেল না সুয়ারেজ-কাভানিদের বিরুদ্ধে। সঙ্গে অসংখ্য ভুল করে গেল আয়োজক দেশ। নিজের জালেই বল জড়িয়ে দিল তাঁরা। ১৯৭০ এর পর উরুগুয়ে রাশিয়াকে কখনও হারাতে পারেনি। মোট আট বার মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। ছ’বারই জিতেছে রাশিয়া। কিন্তু ১৯৭০-কে মনে করিয়ে এ বার রাশিয়াকে মাত দিল উরুগুয়ে। ৩-০ গোলে হারতে হল রাশিয়াকে।
ম্যাচ শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে অসাধারণ ফ্রি-কিকে উরুগুয়েকে এগিয়ে দিয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। রোনাল্ডো, নেমারের পর সুয়ারেজও এই বিশ্বকাপে ভাল ফর্মে রয়েছেন। গোল পাচ্ছেন। দলকে জেতাচ্ছেন। বক্সের ডানদিকে ফ্রি-কিক পেয়ে গিয়েছিল উরুগুয়ে। সেখান থেকে সুয়ারেজের শট আকিনফিভের নাগালের বাইরে দিয়ে চলে যায় গোলে। এই বিশ্বকাপে এটা ষষ্ঠ বার সরাসরি ফ্রি-কিক থেকে গোল হল। ২০১৪-তে যেটা ছিল পাঁচটি।
২৩ মিনিটেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। তবে তার জন্য নিজেদের গোল করতে হয়নি। সেমসাইড গোলে রাশিয়াই এগিয়ে দিয়েছিল উরুগুয়েকে। সেমসাইড গোলের কারিগর চেরিসেভ। সেমসাইড গোল তো বড় ধাক্কা ছিলই রাশিয়া শিবিরের জন্য। তার উপর রেড কার্ড দেখে বেরিয়ে গেলেন সোলনিকোভ। ৩৮ মিনিটেই ১০ জনে হয়ে গিয়েছিল রাশিয়া। তার সঙ্গে দু’গোলে পিছিয়ে। সেখান থেকে তো ফিরতে পারলই না বরং শেষ বেলায় আরও একটা গোল খেয়ে বসল রাশিয়া। কাভানির গোলে ৩-০তে জিতে গ্রুপ শীর্ষে থেকে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল উরুগুয়ে।
আরও পড়ুন:
বিশ্বকাপের স্টেজ ইভেন্টে দীপিকার সোনা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy