ব্রিসবেন টেস্টের সবে প্রথম দিন হয়েছে। দুই দলই সমান জায়গায়। এর মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া দলে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি। ব্রিসবেন টেস্ট থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ায় প্রকাশ্যে কোচ এবং নির্বাচকের দিকে তোপ দাগলেন নেথান লায়ন। জানিয়ে দিলেন, তিনি এতটাই রেগে আছেন যে দু’জনের সঙ্গে বসতেও চাননি।
বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে জামাইকায় দিন-রাতের টেস্টেও খেলেননি লায়ন। ঘরের মাঠে ২০১২-র পর এই প্রথম বার তাঁকে বসানো হল। অভিষেকের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ঘরের মাঠে খেলতে পারলেন না। ২০১২-য় ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম বার বাদ পড়েছিলেন। গোলাপি বলে টেস্টে ৪৩টি উইকেট থাকা সত্ত্বেও লায়নের উপর বিশ্বাস রাখতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। মাঠে আসার ৩০ মিনিট পর তাঁর বাদ পড়ার কথা জানতে পারেন লায়ন। ম্যাচের আগে দলের বৈঠকে স্টিভ স্মিথ, কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড এবং নির্বাচক জর্জ বেইলির সামনে সে কথা জানতে পারেন লায়ন।
পরে ‘চ্যানেল সেভেন’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “খুব নোংরা ব্যাপার। তবে আমার কিছু করার নেই। আশা করি সতীর্থের তৈরি রাখার যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালন করতে পারব এবং এই টেস্টে জেতার জন্য সব রকম সহায়তা করতে পারব।”
এর পরেই কোচ-নির্বাচকদের তোপ দাগেন লায়ন। বলেন, “সত্যি বলতে, এখনও পর্যন্ত রনি (ম্যাকডোনাল্ড) এবং জর্জের সঙ্গে বসিনি। আপাতত নিজের মনের মধ্যে বিষয়টাকে মেনে নেওয়ার চেষ্টা করছি। যাতে অন্য কোনও ভাবে সাহায্য করে মাঠে থাকা সতীর্থদের থেকে সেরাটা বার করে আনতে পারি, সেই চেষ্টা করছি।”
তিনি যে বাদ পড়বেন তা আগে থেকে জানতেন না লায়ন। তবু সাক্ষাৎকারের পরের দিকে কোচ-নির্বাচকদের ঢাকার চেষ্টা করে বলেন, “কথাবার্তা ঠিকঠাকই হয়েছে। তবে আজ কোচ আর জর্জের সঙ্গে বসিনি। আশা করি পরে বসব। আমি তো প্রথম নই যাঁকে টেস্ট থেকে বাদ দেওয়া হল। তবে আমি খুবই হতাশ। অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে, বিশেষ করে এই মাঠে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলতে পারতাম বলে বিশ্বাস করি।”
আরও পড়ুন:
নির্বাচক প্রধান বেইলি অবশ্য ঢোঁক গিলেছেন। বলেছেন, “সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেথান অখুশি সেটা জানি। আমরা মেনেও নিয়েছি। জামাইকাতেও আমাদের সিদ্ধান্তে খুশি হয়নি। ক্রিকেটারেরা ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারে বলে যে দাবি করে, তা নিয়ে কোনও ক্ষোভ নেই আমার। অন্য কোনও দলও বেছে নিতে পারতাম আমরা যেখানে ও থাকত। একটা টেস্টের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। নেথান অ্যাডিলেডে নিশ্চিত ভাবেই খেলবে। আপাতত নিজের মনকে শান্ত করে অ্যাডিলেডের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দিচ্ছি ওকে।”