নায়ক: অকল্পনীয় জয়। তৃপ্তির হাসি রাসেলের। শুক্রবার। এএফপি
মুহূর্তের মধ্যে কী ভাবে ম্যাচের রং পাল্টে দেওয়া যায় শিখিয়ে গেলেন আন্দ্রে রাসেল। ১৬ বলে ৫৬ রান দরকার ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। রাসেলের সৌজন্যে ১১ বলের মধ্যেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেল কেকেআর!
বিরাট কোহালির ৮৪ রানের ইনিংস। ছন্দে ফেরা এ বি ডিভিলিয়ার্সের ৬৩ ম্লান হয়ে গেল ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের ১৩ বলের টর্নেডোয়। অপরাজিত ৪৮ রান করার পরে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে বলে গেলেন, ‘‘কোনও মাঠই আমার কাছে বড় নয়। সব সময় নিজের শক্তির উপর আস্থা রেখে ব্যাট করি।’’
রাসেলের ইনিংসে মুগ্ধ কেকেআরের কর্ণধার শাহরুখ খান থেকে কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। টুইটারে এসআরকে লেখেন, ‘‘যারা ভেবেছিল ম্যাচ বেরিয়ে গিয়েছে, তারা হয়তো ক্রিকেট বোঝে, কিন্তু রাসেলকে চেনে না। অসাধারণ ‘মাসল ম্যান’, এ বার সময় উৎসবের।’’ ব্রায়ান লারা লিখেছেন, ‘‘বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল ঘোষণা করলাম। রাসেলের সঙ্গে যে কোনও দশজন।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অবিশ্বাস্য এই ইনিংস খেলার আগে কী ভেবে মাঠে নেমেছিলেন রাসেল? নায়কের উত্তর, ‘‘ব্যাট করতে যাওয়ার সময় আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ডিকে (কার্তিক) বলেছিল কয়েকটি বল দেখে নিতে। কিন্তু ২০ বলে ৬৮ রান প্রয়োজন হলে বল দেখার সময় থাকে না। ডাগ-আউটে বসেই আন্দাজ হয়ে গিয়েছিল, পিচ কেমন ব্যবহার করছে।’’
এ দিনই কেকেআরের হয়ে এক হাজার রান পূর্ণ হল রাসেলের। বললেন, ‘‘টি-টোয়েন্টিতে কখনও হাল ছাড়ি না। জানি, যে কোনও একটা ওভারেই খেলার ছবিটা বদলে দেওয়া যায়। মস্তিষ্কের একটি অংশ যদিও বলছিল, অনেক রান বাকি। কিন্তু আমি বিশ্বাস হারাইনি। যার ফল, পাঁচ বল আগে ম্যাচ শেষ করে দিলাম,’’ সাফ বার্তা ম্যাচের নায়কের। ইনিংসের শেষ দিকে লো-ফুলটস বলও সহজে স্টেডিয়ামের বাইরে পাঠিয়ে দেন তিনি। কী ভাবে সম্ভব? দ্রে রাসের উত্তর, ‘‘চোখের সঙ্গে হাতটা চলা খুব জরুরি। বাকিটা বলতে পারছি না, করে দেখাতে হবে।’’ বলেই হাসতে, হাসতে বেরিয়ে গেলেন তিনি।
ক্রিকেট প্রেমীদের মতোই ব্রেট লি-র মনে প্রশ্ন জেগেছে, সকালে কী খান রাসেল? প্রশ্নটি যদিও রাসেলকে করেননি ব্রেট লি। করেছিলেন কেকেআর ওপেনার ক্রিস লিনকে। লিন বলেন, ‘‘ও তো ব্রেকফাস্ট করতেই আসে না। যখনই সময় পায় শারীরচর্চায় মগ্ন হয়ে যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy