Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
ISL 2020

ব্যর্থ লাল-হলুদ রক্ষণ, ২-০ গোলে ডার্বি জিতল মোহনবাগান

আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে জিতল এটিকে মোহনবাগান। ২-০ হারাল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে।

গোলের পর উৎসব রয় কৃষ্ণের। ছবি: আইএসএল।

গোলের পর উৎসব রয় কৃষ্ণের। ছবি: আইএসএল।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২০ ১৯:৩৮
Share: Save:

সময় শেষ। বাজল রেফারির লম্বা বাঁশি। ব্যবধান কামতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। শুরুতে ভাল খেলেও বিরতির পর ক্রমশ হারিয়ে গেল লাল-হলুদ শিবির। অন্যদিকে, বাজিমাত করল সবুজ-মেরুন শিবির। সম্মানের লড়াইয়ে জিতল ২-০ গোলে। গোল করলেন রয় কৃষ্ণ ও মনবীর সিংহ। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পেয়ে আইএসএলের তালিকায় শীর্ষে উঠে এল হাবাসের দল।

৯০ মিনিট: ৪ মিনিট ইনজুরি টাইম। ইস্টবেঙ্গল কি ব্যবধান কমাতে পারবে?

৮৫ মিনিট: ডান দিক দিয়ে উঠে এসে বিশ্বমানের গোল করলেন মোহনবাগানের মনবীর সিংহ। ডার্বিতে এই গোল অসাধারণ। ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে এসে কাট করে বাঁ পায়ের শটে জালে বল জড়ালেন তিনি। ২-০ এগিয়ে গেল মোহনবাগান।

৮২ মিনিট: অসাধারণ সেভ মোহনবাগানের গোলরক্ষক অরিন্দম। পিলকিংটনের ডান পায়ের জোরালো শট শরীর ছুড়ে আটকালেন তিনি। কর্নার হয়ে গেল বল। বিশ্বমানের সেভ।

৭৬ মিনিট: ড্রিংকস ব্রেক। এটিকে মোহনবাগান এগিয়ে ১-০ গোলে। এসসি ইস্টবেঙ্গল কি ম্যাচে ফিরতে পারবে?

৭১ মিনিট: রয় কৃষ্ণকে আটকাতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখলেন ইস্টবেঙ্গলের নারায়ণ দাস।

৬৯ মিনিট: রফিককে টেনে ধরে হলুদ কার্ড দেখলেন মোহনবাগানের প্রীতম।

৫৯ মিনিট: পিলকংটনের ফ্লিক থেকে কাউন্টার অ্যাটাক ইস্টবেঙ্গলের। বক্সের মধ্যে বাঁ পায়ে বল পেয়ে গিয়েছিলেন বলবন্ত। কিন্তু লাভ হয়নি।

৪৯ মিনিট: রয় কৃ্ষ্ণের গোল। তাঁর বাঁ পায়ের শটে এগিয়ে গেল মোহনবাগান। কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধেও বাঁ পায়ের শটে গোল করে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি। এই ম্যাচেও গোলের জন্য তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিল দল। আর তিনি সেই দায়িত্ব পালন করলেন দারুণ ভাবে।

৪৫ মিনিট: বিরতির পর শুরু হল ডার্বি। কোনও পরিবর্তন হয়নি দু’দলে।

প্রথমার্ধ শেষ। কোনও গোল এল না ডার্বির প্রথম ৪৫ মিনিটে। দুই দলই আক্রমণে এসেছে। তবে ইস্টবেঙ্গলকে তুলনায় বেশি আক্রমণাত্মক লেগেছে। এটাই প্রথম ম্যাচ ফাওলারের দলের। কিন্তু কোনও জড়তা দেখা যায়নি। তবে সেরা সুযোগ এসেছিল এটিকে মোহনবাগানের সামনে। তবে দুর্ভেদ্য হয়ে উঠেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক দেবজিৎ।

৪৫ মিনিট: ২ মিনিটের ইনজুরি টাইম দেওয়া হল।

৪২ মিনিট: রয় কৃষ্ণ এগিয়েছিলেন বল পায়ে। সেখান থেকে বল যায় জয়েশ রানার কাছে। ইস্টবেঙ্গল গোলের উদ্দেশে নেওয়া তাঁর শট অনেক বাইরে গেল।

৩৮ মিনিট: সুরচন্দ্র সিংহ থেকে বল পেয়েছিলেন বলবন্ত। কিন্তু দারুণ ভাবে বাধা দিলেন মোহনবাগানের প্রীতম কোটাল।

৩৬ মিনিট: বক্সের মধ্যে হার্নান্দেজের শট অসাধারণ প্রচেষ্টায় বাঁচালেন ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক দেবজিৎ। কর্নার পেল মোহনবাগান।

৩২ মিনিট: কর্নার পেল ইস্টবেঙ্গল।

৩০ মিনিট: ড্রিংকস ব্রেক। ম্যাচের ফল ০-০।

২৪ মিনিট: ফের ডান দিক দিয়ে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে উঠে এসে কর্নার পেল মোহনবাগান। বিপজ্জনক দেখাচ্ছে উইং-ব্যাক প্রবীর দাসকে।

২২ মিনিট: হার্নান্দেজকে ফাউল করার জন্য হলুদ কার্ড দেখলেন ইস্টবেঙ্গলের বলবন্ত সিংহ।

১৯ মিনিট: মোহনবাগান গোলে শট ইস্টবেঙ্গলের পিলকিংটনের। ধরলেন মোহনবাগান গোলরক্ষক অরিন্দম।

১৩ মিনিট: মাঘোমার মাধ্যমে আক্রমণ ইন্টবেঙ্গলের। কিন্তু, বিপদ ঘটেনি।

১১ মিনিট: ফ্রিকিক থেকে ফিরতে বলে শট নিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণ। যা প্রতিহত হয়।

৭ মিনিট: ইস্টবেঙ্গলের পিলকিংটন ঢুকে পড়েছিলেন বক্সে। কিন্তু লাভ হয়নি।

২ মিনিট: কর্নার পেল মোহনবাগান।

১ মিনিট: কিক অফ। ইস্টবেঙ্গলের পায়ে বল।

পিকে-চুনীকে স্মরণ করে শুরু হল বহু-প্রতীক্ষিত ডার্বি।

মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল মানেই চিরকালীন আবেগের লড়াই। যতই মাঠ দর্শকহীন হোক, যতই মোহনবাগানের আগে এটিকে আর ইস্টবেঙ্গলের আগে এসসি বসুক, উন্মাদনা তুঙ্গেই থাকছে।

এই ম্যাচ এক অর্থে ঐতিহাসিকও। এই প্রথম বার আইএসএলে খেলছে কলকাতার দুই বড় ক্লাব। আর এই প্রথম বার আইএসএলে মুখোমুখি দুই প্রধান। ফলে, আবেগের ফুলকি ছিটকে বেরবেই।

আইএসএলে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করেছে এটিকে মোহনবাগান। এ বারের উদ্বোধনী ম্যাচে হারিয়েছে কেরল ব্লাস্টার্সকে। গোল করেছেন রয় কৃষ্ণ। গোলের জন্য শুক্রবারও যাঁর দিকে তাকিয়ে থাকছে আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসের দল। অন্য দিকে, রবি ফাওলারের অস্ত্র আবার অ্যান্টনি পিলকিংটন। ইস্টবেঙ্গল কোচ হিসেবে এটাই তাঁর প্রথম ম্যাচ। ফলে, শুরুটা স্মরণীয় করে রাখার তাগিদ রয়েছে ফাওলারের। আর সেই কারণেই কেরলের বিরুদ্ধে মোহনবাগানের ম্যাচ বার বার কাটাছেঁড়া হয়েছে লাল-হলুদ ড্রেসিংরুমে। দেখে নেওয়া হয়েছে বিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা।

আরও পড়ুন: ডার্বির শতবর্ষে ইতিহাসে চোখ দুই প্রধানের, সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে স্মৃতির হাতছানি

আরও পড়ুন: সাফল্যের শিখর থেকে কলঙ্কের অধ্যায়, এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে আনপ্লাগড করিম​

হাবাসের যদিও সেই সুযোগ ছিল না। ইস্টবেঙ্গল তাঁর কাছে একেবারেই অচেনা। রয় কৃষ্ণ আবার এটাকেই সুবিধা বলে মনে করছেন। তাঁর মতে, প্রতিপক্ষকে চেনা নেই বলেই আগাম ভাবনা নেই। তা ছাড়া একটা ম্যাচ খেলে ফেলায় বোঝাপড়ার দিক থেকেও হাবাসের দলের সুবিধা হবে বলে মনে করছেন অনেকে।

ময়দানের প্রাচীন অরণ্য প্রবাদ বলে, এই ম্যাচে কাউকে এগিয়ে রাখা যায় না। কারণ মুহূর্তের মধ্যে বদলে যেতে পারে ম্যাচের পরিস্থিতি। আর এই ম্যাচে স্রেফ স্কিলে জেতা যায় না, প্রয়োজন মরিয়া তাগিদেরও।

এর আগে ১৯ জানুয়ারি শেষ বার মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। করোনা আবহে বন্ধ ছিল ম্য়াচ। ৩১২ দিন পর ফের মুখোমুখি দু’দল। আর এই ডার্বি আইএসএলকেই অন্য মাত্রা দিচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ISL 2020 SC East Bengal ATK Mohun Bagan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE