নায়ক: গোল করে লালথানখুমার উচ্ছ্বাস (ডান দিকে)। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
ইস্টবেঙ্গল ০ • মোহনবাগান ১
জেজে লালপেখলুয়ার ভক্ত। বড় হয়ে মোহনবাগানের হয়ে খেলতে চান। মিজোরামের ছেলে সেই লালথানখুমা দুহভেলা-র গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৮ আই লিগের ডার্বিতে মধুর প্রতিশোধ নিল মোহনবাগান।
প্রথম পর্বের ডার্বিতে মোহনবাগান মাঠে গিয়ে জিতে ফিরেছিল ইস্টবেঙ্গল। ফিরতি পর্বের ডার্বিতে এ বার ইস্টবেঙ্গল মাঠে শুধু ম্যাচই জিতল না সবুজ-মেরুন শিবির। সঙ্গে সাত ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এল ছয় দলের কলকাতা পর্বের শীর্ষে। অন্য দিকে এই ম্যাচ হারায় ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ১১। গোলপার্থক্যে তারা তৃতীয়।
প্রথমার্ধের মাঝামাঝি ফ্রি-কিক থেকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন মিডফিল্ডার লালথানখুমা। ম্যাচ শেষে বলেও গেলেন, ‘‘এর আগে আইএফএ শিল্ডের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে পেনাল্টি নষ্ট করেছিলাম। আজ গোল করে দলকে জিতিয়ে সেই দুঃখ এবং আগের ডার্বি হারের আফসোস মুছে ফেললাম।’’ মোহনবাগান কোচ জো পল আনচেরিও বলছেন, ‘‘ছেলেদের বলেছিলাম, ওরা মোহনবাগান মাঠে জিতেছে। আজ ইস্টবেঙ্গল মাঠে এই ‘বদলার ডার্বি’ জিতে ফিরতে হবে। ছেলেরা তা করতে পারায় আমি খুশি।’’
তবে এ দিন ছোটদের বড় ম্যাচ কলঙ্কিত হল ফের কিছু উচ্ছৃঙ্খল দর্শকের অভব্য আচরণে। ম্যাচের শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল সদস্য গ্যালারি থেকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করছিলেন কয়েকজন সমর্থক। যা বন্ধ করতে উদ্যোগী হন প্রাক্তন ফুটবলার সঞ্জয় মাঝি, অলোক দাস ও ইস্টবেঙ্গল জুনিয়র দলের প্রাক্তন ম্যানেজার। তাতে গালিগালাজ সাময়িক বন্ধ হলেও প্রথমার্ধের শেষ দিকে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে ফের তা শুরু হয়। যা বন্ধ করতে গিয়ে ওই উগ্র সমর্থকদের হাতে লাঞ্ছিত হন এক লাল-হলুদ কর্তাও। এর পরেই ওই সমর্থকরা চড়াও হন সাংবাদিকদের উপর। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ম্যাচের পরে রাস্তায় মাঠ ফেরত মোহনবাগান সমর্থকদেরও মারধর করে ওই সমর্থকদের দল।
ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন, ‘‘এই কাজের সমর্থন চাই না আমরা। কারণ এই নিন্দাজনক ঘটনা কোনও ভাবেই সমর্থন করা যায় না। এর পরে ছোটদের ডার্বিতে সদস্য গ্যালারিতে স্বেচ্ছাসেবক এবং নিরাপত্তারক্ষী রাখবে ক্লাব। প্রয়োজনে টিকিটও চালু করা যেতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy