Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

জোকোভিচকে হারিয়ে লন্ডনে সেমিফাইনালে ফেডেরার

শুধু প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে দেওয়াই নয়, একই সঙ্গে রাফায়েল নাদালকে সরিয়ে বিশ্বের এক নম্বর হিসেবে জোকোভিচের মরসুম শেষ করার স্বপ্নেও জল ঢেলে দিলেন সুইস মহাতারকা।

হুঙ্কার: জোকোভিচকে হারানোর পথে আগ্রাসী রজার। ছবি: এএফপি।

হুঙ্কার: জোকোভিচকে হারানোর পথে আগ্রাসী রজার। ছবি: এএফপি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৮
Share: Save:

একটুর জন্য উইম্বলডনের মহাকাব্যিক ফাইনালে না পারলেও প্রায় নিখুঁত পারফরম্যান্সে রজার ফেডেরার এটিপি ফাইনালস প্রতিযোগিতায় উড়িয়ে দিলেন নোভাক জোকোভিচকে। যে জিতবে সে-ই সেমিফাইনালে উঠবে, এমন অবস্থায় খেলতে নেমে বিশ্বের দু’নম্বরের বিরুদ্ধে ফেডেরার জেতেন ৬-৪, ৬-৩। শুধু প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে দেওয়াই নয়, একই সঙ্গে রাফায়েল নাদালকে সরিয়ে বিশ্বের এক নম্বর হিসেবে জোকোভিচের মরসুম শেষ করার স্বপ্নেও জল ঢেলে দিলেন সুইস মহাতারকা।

ম্যাচে জেতার পরে ফেডেরার বলেন, ‘‘দারুণ পরিবেশ, দুরন্ত প্রতিপক্ষ। কোনও সন্দেহ নেই বিশেষ একটা ম্যাচ খেললাম। প্রথম থেকেই লড়াইটা উপভোগ করেছি। নিজের পারফরম্যান্সে খুব খুশি। জানতাম নোভাককে হারাতে গেলে এমনই কিছু করতে হবে কোর্টে।’’ একই সঙ্গে উইম্বলডন ফাইনালের প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, ‘‘উইম্বলডনে জেতার খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। তবু জিততে পারিনি। তবে এ রকম একটা ম্যাচ খেলাটা আলাদা একটা অনুভূতি। এই মুহূর্তে ম্যাচটা জিতে দুরন্ত লাগছে।’’

এর আগে ফেডেরারের বিরুদ্ধে গত পাঁচ বারের সাক্ষাতে পাঁচ বারই জিতেছিলেন জোকোভিচ। এ দিন অবশ্য জয়ের জন্য তিনি সব কৃতিত্ব দেন প্রতিপক্ষকেই। ‘‘সব দিক থেকেই আজ ফেডেরার আমার চেয়ে এগিয়ে ছিল। তাই ও যোগ্য হিসেবেই জিতেছে,’’ বলেছেন জোকোভিচ।

আরও পড়ুন: স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ থেকে মুক্ত রাহুল দ্রাবিড়

লন্ডনের ওটু এরিনায় এই ম্যাচে প্রথম থেকেই দাপট ছিল ছ’বারের চ্যাম্পিয়ন ফেডেরারের। প্রথম সেটে নিজের সার্ভিসে মাত্র তিনটি পয়েন্ট খোয়াতেই সেটা পরিষ্কার। নাদালকে সরিয়ে বিশ্বের এক নম্বরের সিংহাসনে উঠে আসতে জোকোভিচকে এই ম্যাচ জিততেই হত। কিন্তু সার্বিয়ান তারকা সেই লক্ষ্যে ব্যর্থ হওয়ায় স্প্যানিশ তারকার পঞ্চম বার বিশ্বসেরা হিসেবে মরসুম শেষ করা নিশ্চিত হয়ে যায়। যে কৃতিত্ব রয়েছে ফেডেরার, জোকোভিচ এবং প্রাক্তন মার্কিন তারকা জিমি কোনর্সের। শুক্রবারই নাদাল গ্রুপ ম্যাচে স্তেফানোস চিচিপাসকে ৬-৭, ৬-৪, ৭-৫ হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার দৌড়েও টিকে রইলেন। এদিনই তাঁর হাতে মরসুম শেষে এক নম্বরের ট্রফি আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দেওয়া হয়। নাদাল পরে বলেন, ‘‘এই বয়েসে ভাবিনি আবার এই ট্রফি পাওয়ার সুযোগ পাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE