স্মৃতিচারণ: অকল্যান্ড ম্যাচের কথা সচিনের মুখে। ফাইল চিত্র
ভারতের হয়ে ওয়ান ডে-তে ওপেন করার জন্য রীতিমতো আবেদন ও অনুরোধ করতে হয়েছিল কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরকে।
১৯৯৪ সালে, নিউজ়িল্যান্ড সফরে অকল্যান্ড ওয়ান ডে-তে প্রথম বার ওপেন করেছিলেন সচিন। সেই ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন মহম্মদ আজ়হারউদ্দিন। সেই ঘটনার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে সচিন বলেন, ‘‘১৯৯৪ সালে প্রথম বার ভারতের হয়ে ওপেন করার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেই সময় ওয়ান ডে-তে ওপেনারেরা রান করার চেয়েও বেশি উইকেট বাঁচানোর চেষ্টা করত। আমি একটু অন্য রকম ভেবেছিলাম। পরিকল্পনা ছিল, শুরুতেই দ্রুত রান করে বিপক্ষকে চাপে ফেলে দেওয়ার। কিন্তু সেই সুযোগ পেতে আমাকে অনেক আবেদন ও অনুরোধ করতে হয়েছিল। বলেছিলাম, ব্যর্থ হলে আর কখনও ওপেন করতে চাইব না।’’
কী হয়েছিল সেই ম্যাচে? ‘‘প্রথম বার ওপেন করতে নেমেই ৪৯ বলে ৮২ রান করেছিলাম। তার পর থেকে আর কখনও ওপেন করার জন্য বায়না করতে হয়নি। তাই সবাইকে বলব, ব্যর্থ হলে কখনও ভেঙে পড়ো না। অপেক্ষা করো সুযোগের জন্য।’’
এ দিকে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ ওঠা নিয়ে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) প্রধান রাহুল দ্রাবিড় এবং ভারতীয় বোর্ডের পদাধিকারী মায়াঙ্ক পারিখ বৃহস্পতিবার দেখা করবেন নীতি নির্ধারক আধিকারিক ডি কে জৈনের সঙ্গে। মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার আজীবন সদস্য সঞ্জীব গুপ্তা প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন স্বার্থ সংঘাতের। যেহেতু দ্রাবিড় এনসিএ-র প্রধানের পদে থাকার পাশাপাশি ইন্ডিয়া সিমেন্টস কোম্পানির পদাধিকারী ছিলেন। কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ) প্রধান বিনোদ রাই অবশ্য বলেছেন, ইন্ডিয়া সিমেন্টস থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দ্রাবিড়। তবে সিওএ-র আর এক সদস্য আবার বলেছেন, দ্রাবিড় অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটি নিয়েছেন।
এ বার দেখার, গোটা ব্যাপারটা কী ভাবে দেখেন নীতি নির্ধারক অফিসার ডি কে জৈন। বিসিসিআই আবার দ্রাবিড়ের পক্ষে লড়ার জন্য নিজেদের আইনজীবীও তৈরি রেখেছে। কারণ, এনসিএ প্রধান হিসেবে দ্রাবিড় এখন বোর্ডের বেতনভুক। পারিখের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে জড়িত, যে ক্লাবগুলির মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার (এমসিএ) নির্বাচনে ভোটাধিকার রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি ভারতীয় বোর্ডের বেতনভুকও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy