কথায় বলে, সকাল দেখে বোঝা যায় গোটা দিনটা কেমন হতে চলেছে। এ বারের উইম্বলডনের প্রথম দিনই বুঝিয়ে দিয়েছিল, পরের দিনগুলো কেমন হবে। সেই পথেই এগোচ্ছে অঘটনের উইম্বলডন। প্রতিযোগিতার প্রথম চার দিনে মোট ৩৬ বাছাই খেলোয়াড় বিদায় নিয়েছেন। গত বারের মহিলাদের রানার আপ জেসমিন পাওলিনি হেরে গিয়েছেন।
ইটালির টেনিস তারকাকে দ্বিতীয় রাউন্ডে হারিয়ে দিয়েছেন অবাছাই কামিলা রাখিমোভা। রাশিয়ার খেলোয়াড়ের র্যাঙ্কিং ৬২। তাঁর কাছে যে পাওলিনি হারবেন, তা কেউ ভাবেননি। প্রথম সেট জিতে গিয়েছিলেন পাওলিনি। তার পরেই ছন্দপতন। পরের দুই সেট জিতে ম্যাচ (৪-৬, ৬-৪, ৬-৪) জিতে যান রাখিমোভা।
রাখিমোভার কাছে পাওলিনির হারের পর মহিলাদের প্রথম পাঁচ খেলোয়াড়ের মধ্যে একমাত্র বাকি রইলেন শীর্ষবাছাই এরিনা সাবালেঙ্কা। বাকি চার জনই বিদায় নিয়েছেন। সাবালেঙ্কার কঠিন প্রতিপক্ষের সংখ্যা কমলেও এ বার যে ভাবে অবাছাই খেলোয়াড়েরা দাপট দেখাচ্ছেন, তাত সন্তুষ্ট হতে পারবেন না বেলারুশের খেলোয়াড়।
আরও পড়ুন:
২০০১ সাল থেকে গ্র্যান্ড স্ল্যামে পুরুষ ও মহিলাদের ক্রমতালিকায় থাকা প্রথম ৩২ জন খেলোয়াড়কে বাছাই ধরা হয়। অর্থাৎ, মোট ৬৪ জন বাছাই খেলোয়াড় থাকেন। তার মধ্যে চার দিনেই ৩৬ জন বিদায় নিয়েছেন। বাছাই খেলোয়াড়দের অর্ধেকের বেশি হেরে গিয়েছেন। এটা গ্র্যান্ড স্ল্যামে রেকর্ড। ২০২০ সালে ফরাসি ওপেনে প্রথম দুই রাউন্ডের পর ৩৫ জন বাছাই খেলোয়াড় বিদায় নিয়েছিলেন। তাকে ছাপিয়ে গিয়েছে এ বারের উইম্বলডন।
এই ৩৬ জনের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ ও ১৭ জন মহিলা। প্রথম দুই রাউন্ডে পুরুষদের যে ১৯ জন বাছাই প্রথম রাউন্ডে বিদায় নিয়েছেন তাঁরা হলেন— জ়েরেভ (৩), ড্রেপার (৪), মুসেত্তি (৭), রুন (৮), মেদভেদেভ (৯), টিয়াফো (১২), পল (১৩), কেরুনডোলো (১৬), হুমবার্ট (১৮), পপিরিন (২০), মাচাক (২১), লেহেচকা (২৩), চিচিপাস (২৪), আলিয়াসিমে (২৫), শাপালভ (২৭), বুবলিক (২৮), মিকেলসন (৩০), গ্রিকসপুর (৩১) ও বেরেত্তিনি (৩২)। মহিলাদের ১৭ বাছাই খেলোয়াড় বিদায় নিয়েছেন প্রথম দু’দিনে। তাঁরা হলেন— গফ (২), পেগুলা (৩), পাওসিনি (৪), ঝেং (৫), বাদোসা (৯), শ্নাইডের (১২), মুচোভা (১৫), ওস্তাপেঙ্কো (২০), হাদাদ মাইয়া (২১), ভেকিচ (২২), ফ্রেচ (২৫), কস্টিউক (২৬), লিনেত্তি (২৭), কেনিন (২৮), ফের্নান্দেস (২৯), ক্রুয়েগার (৩১) ও কেসলার (৩২)।