এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের ইনিংসের ভিত নড়িয়ে দিয়েছেন আকাশ দীপ। প্রথম বার সে দেশে ভারতের জার্সি গায়ে নেমে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই জোড়া উইকেট তুলে নিয়েছেন। কিন্তু বল করার সময় একটা সমস্যায় পড়েন বাংলার পেসার। তাঁকে সাহায্য করতে ছুটে যান সতীর্থ মহম্মদ সিরাজ। পরামর্শও দেন।
জসপ্রীত বুমরাহ এই টেস্টে না খেলায় ভারতের পেস আক্রমণের নেতা সিরাজ। কারণ, তিন পেসারের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে অভিজ্ঞ। নিজের স্পেলের পঞ্চম ওভারে ক্রিজ়ে পা ফেলার সময় সমস্যা হচ্ছিল আকাশের। ক্রিজ়ের সেই অঞ্চল কিছুটা অসমান হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছিল। অনেক সময় এ রকম হলে পা পিছলে বা মচকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। লোকেশ রাহুলকেও সেখানে দেখা যায়। তাঁরা এ-ও আলোচনা করছিলেন যে হাতুড়ি মেরে জায়গাটা সমান করতে হবে।
আম্পায়ারের কাছে গিয়ে বার বার আকাশ সেই সমস্যার কথা বলছিলেন। সেই সময় দেখা যায় সিরাজ ছুটে সেখানে গিয়েছেন। তাঁকে আকাশ জানান, কী সমস্যা হচ্ছে। তা শুনে সিরাজ বলেন, “এই কথাটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল। ঠিক আছে? অসমান হলে কী আর করা যাবে? নিজের বলের দিকেই নজর দে। কিচ্ছু হবে না।” সিরাজের মুখে সে কথা শুনে আবার নিজের রান-আপে ফিরে যান আকাশ। প্রথম স্পেলে সাত ওভার বল করেন তিনি। পরে আর কোনও অভিযোগ করেননি তিনি।
আরও পড়ুন:
ইংল্যান্ডের ইনিংসে প্রথম ওভারেই বল করতে যান আকাশ। সেই ওভারে ১২ রান দেন তিনি। কিন্তু তৃতীয় ওভারে ফিরে আসেন বাংলার পেসার। ওভারের চতুর্থ বলে বেন ডাকেটকে আউট করেন তিনি। ডাকেটের ব্যাটে লেগে বল স্লিপে যায়। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ভাল ক্যাচ ধরেন অধিনায়ক শুভমন গিল। পরের বলেই আকাশ ফেরান ওলি পোপকে। স্লিপে ক্যাচ ধরেন রাহুল। ইংল্যান্ডকে তৃতীয় ধাক্কা দেন সিরাজ। তাঁর বলে স্লিপে করুণ নায়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জ্যাক ক্রলি। টানা ১৪ ওভার বল করেন দুই পেসার। আকাশ সাত ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। সিরাজ সাত ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
বুমরাহ না থাকায় ভারতের বোলিং আক্রমণ নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তা ছিল। সিরাজ আগের টেস্টে ভাল বল করলেও উইকেট পাননি। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ প্রচুর রান দিয়েছেন। কিন্তু এই টেস্টে আকাশ শুরুটা ভাল করলেন। নতুন বলকে দু’দিকেই সুইং করিয়েছেন তিনি। অধিনায়কের পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করেছেন। সিরাজও উইকেট পেয়েছেন। তাঁদের জুটিতে ইংল্যান্ড চাপে রয়েছে। এখন দেখার দ্বিতীয় দিন ভারত কেমন বল করে।