অভিমন্যু ঈশ্বরনে। ফাইল চিত্র
বাংলার অনূর্ধ্ব ২৩ দলের হয়ে কর্নেল সি কে নাইডু ট্রফির ফাইনালে খেলা হচ্ছে না অভিমন্যু ঈশ্বরনের। ওই সময় তাঁকে আরও বড় দায়িত্ব পালন করতে যেতে হবে কেরলের ওয়ায়নাড়ে। যেখানে ভারত ‘এ’ চার দিনের ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে। ৭ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি এই ম্যাচ। অন্য দিকে, সি কে নাইডু ট্রফির ফাইনাল ৪-৮ ফেব্রুয়ারি। তাই অভিমন্যুকে পাবে না বাংলা।
ঋত্বিক রায়চৌধুরীদের শিবিরে এক দিকে যেমন এটা দুঃসংবাদ, তেমনই অভিমন্যুর জন্য খুশি তাঁর কোচ, সতীর্থরা। দলের কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী বুধবার বললেন, ‘‘অভিমন্যুর মতো ব্যাটসম্যানের দলে না থাকাটা অবশ্যই বড় ক্ষতি। কিন্তু ওর পক্ষে এটা একটা বড় সুযোগ। ভবিষ্যতে ওকে আমরা টেস্ট দলেও দেখতে চাই।’’ আর অভিমন্যু বলেন, ‘‘বাংলাকে ফাইনালে তুলে ভারত ‘এ’-র হয়ে খেলতে যাব, এ রকমই আশা ছিল আমার। সেই আশাই পূরণ হল। এ বার ওখানে গিয়েও এই ছন্দ ধরে রাখতে চাই।’’
অন্য দিকে, ভারত ‘এ’ দলে ওপেনার কে এল রাহুলকে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি এক টিভি অনুষ্ঠানে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া রাহুলকে ‘এ’ দলের ওয়ান ডে সিরিজে ফেরানো হয়। এ বার চার দিনের ম্যাচেও থাকবেন তিনি। কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবে এই দলে ফিরছেন ঝাড়খণ্ডের পেসার বরুণ অ্যারন। যিনি ভারতের হয়ে শেষ বার মাঠে নেমেছেন ২০১৫-র নভেম্বরে। ২৯ বছর বয়সি এই পেসারের সঙ্গে এই দলে রাখা হয়েছে আবেশ খানের মতো তরুণকেও। রয়েছেন শার্দূল ঠাকুর, নবদীপ সাইনিও। রঞ্জিতে সফল হওয়ার পরে অলরাউন্ডার জলজ সাক্সেনা ডাক পেয়েছেন এই দলে। রয়েছেন সিদ্ধেশ লাডও। যাঁর হয়ে সম্প্রতি সওয়াল করেন
সুনীল গাওস্করও।
বাংলার অনূর্ধ্ব ২৩ দলে অভিমন্যুর জায়গায় ডাক পেলেন অনূর্ধ্ব ১৯-এ সফল সৌরভ পাল। যিনি ওই স্তরে গত দু’বছরই সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার জন্য খেলতে পারবেন না স্পিনার প্রয়াস রায়বর্মণও। তবে আমির গনি আছেন। সৌরাশিস বলেন, ‘‘যে দল রয়েছে আমাদের হাতে, সেই দল নিয়েই সফল হওয়াটাই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy