তিনি কি এখনও ওয়ান ডে দলের চার নম্বরে ব্যাট করার স্বপ্ন দেখেন? রাহানের উত্তর, ‘‘ওয়ান ডে দলে ফিরলে চার নম্বরে ব্যাট করাই লক্ষ্য আমার।’’
ইনদওরে আসার আগে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে টেকনিক নিয়ে কাজ করেছেন রাহানে। তাঁর সঙ্গেই এনসিএ-তে অনুশীলন করেছেন চেতেশ্বর পুজারা, মায়াঙ্ক আগরওয়ালরা। রাহানের মত, রাহুলের সঙ্গে কাজ করে তাঁর মতো বাকিরাও উপকৃত হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে কাজ করার উপকার সব সময়েই পেয়েছি। প্রথমত তিনি আমার রোলমডেল। তাই বড় সিরিজের আগে এনসিএ-তে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে যাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে কাজ করেছি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগেও এনসিএ-তে প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রত্যেক বারই উপকৃত আমি।’’ রাহানে আরও বলেন, ‘‘যখনই সময় পাই, মনে হয় এনসিএ-তে গিয়ে রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে কাজ করে আসি। অতীতেও তাঁর থেকে প্রচুর শিখেছি। এখনও শিখছি।’’
৯০টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে রাহানের। তিনটি ওয়ান ডে সেঞ্চুরিও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। অথচ ভারতীয় ওয়ান ডে দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য এখনও কসরত করতে হচ্ছে তাঁকে।
রাহানে যখন ওয়ান ডে দলে জায়গা পাওয়ার চেষ্টায় মগ্ন, বাংলাদেশ শিবিরে তখন উদ্বেগের আশঙ্কা। শাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের ছাড়াই ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে নামার চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে তাদের। কিন্তু শাকিবের অভাব যে পূরণ করা যায় না তা জানিয়ে দিলেন তরুণ ব্যাটসম্যান। মিঠুনের কথায়, ‘‘শাকিবের অভাব পূরণ করার মতো এখনও কেউ নেই। কোনও সন্দেহই নেই যে, শাকিব ও তামিমের অভাব আমরা কতটা অনুভব করব। যে কোনও পরিস্থিতিতে দলকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করত শাকিব ভাই। তবে বর্তমান দলের প্রত্যেকে ভাল ফল করার জন্য মরিয়া। ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করতে না পারলে ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচ দিন টিকে থাকা কঠিন।’’