—প্রতীকী চিত্র।
ক্ষমা চাইলেন আমারিসা টথ। হাঙ্গেরিয়ান ওপেনে তিনি খেলা চলাকালীন এমন ব্যবহার করেছিলেন, চিনের ঝাং সুয়াই মাঝপথে কাঁদতে কাঁদতে ম্যাচ ছেড়ে দিয়েছিলেন। সেই ঘটনার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে ক্ষমা চাইলেন টথ।
প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যান টথ। সেই হারের পর তিনি বলেন, “যা হয়েছিল সেটার জন্য আমি দুঃখিত। মানুষ এবং খেলোয়াড় হিসাবে আমি সুয়াইকে সম্মান করি। আমি কখনও ওকে অপমান করতে চাইনি।” টথের সঙ্গে হাত মেলানোর পর হাঙ্গেরির ২০ বছরের টেনিস খেলোয়াড় টথকে দেখা যায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে। যা দেখে তাঁর দেশের দর্শকেরাই টিটকিরি দেন টথকে। তিনি বলেন, “সেই ম্যাচে আমি যে ভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলাম, সেটা করা উচিত হয়নি। আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি। আমার ওই ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। ম্যাচের কারণে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, তাতে ভেসে গিয়েই আমি ওই ভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ফেলি। ওই ভাবে জিততে চাইনি আমি। আমার লক্ষ্য থাকবে ভাল টেনিস খেলা।”
হাঙ্গেরিয়ান ওপেনে মুখোমুখি হয়েছিলেন ঝাং এবং টথ। সেই ম্যাচে প্রথম গেমে এক সময় ৫-৫ চলছিল। সেই সময় একটি পয়েন্ট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। চেয়ার আম্পায়ার একটি বল কোর্টের বাইরে পড়েছে বলে নিজের সিদ্ধান্ত জানান। কিন্তু ঝাং নিশ্চিত ছিলেন যে, বলটি লাইনের উপর পড়েছে। ঝাং হতাশ হয়ে চিৎকার করে বলেন, “ঈশ্বর, আমার এক জন রেফারি দরকার।”
আম্পায়ার এবং ঝাংয়ের মতপার্থক্য হলেও খেলা আবার শুরু হয়। পরের পয়েন্টটি ঝাং জিতে নেন। কিন্তু সেই সময় টথকে হাসতে দেখা যায়। ২০ বছরের তরুণের এমন ব্যবহার অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। এর মধ্যে টথ আরও একটি কাণ্ড করেন। বল লাইনের উপর পড়েছিল না পড়েনি বোঝার জন্য দেখতে হত বল কোন জায়গায় পড়েছে। কিন্তু টথ ইচ্ছাকৃত সেটা মুছে দেন। ঝাং আপত্তি করলেও শোনেননি। দু’বার ডবলস গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা ঝাং প্রশ্ন করেন, “এটা তুমি কেন করলে?” উত্তর টথ বলেন, “তুমি খুব সমস্যা তৈরি করছিলে, তাই মুছে দিয়েছি।”
ঝাং ওই ঘটনার পর গেমটি ৬-৫ ব্যবধানে জিতলেও ভেঙে পড়েন। বেঞ্চিতে বসে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখা যায় তাঁকে। কোর্টের মধ্যে ফিজ়িয়োকে ডাকেন। কিছু ক্ষণ পর ম্যাচটি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ঝাং ম্যাচটি ছাড়তেই টথকে দেখা যায় হাত তুলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে। যা ভাল ভাবে নেননি ভিক্টোরিয়া আজ়ারেঙ্কা। বেলারুসের টেনিস তারকা টুইট করে লেখেন, “এটা খেলোয়াড়সুলভ আচরণ নয়। অদ্ভুত!” বিপক্ষকে সম্মান না দেখানোর জন্য টথের আচরণের সমালোচনা করেছিলেন টেনিস বিশ্বের অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy