শোয়েব আখতার। ফাইল চিত্র।
আত্মজীবনীতে নানা ঝড় তোলা শাহিদ আফ্রিদি পাশে পেয়ে গেলেন শোয়েব আখতারকে। এ বার আফ্রিদির সঙ্গে গলা মিলিয়ে শোয়েবও বলছেন, তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে তিনিও পাকিস্তান দলে বড়দের ‘অত্যাচার’ সহ্য করেছেন।
আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’-এ আফ্রিদি তোপ দেগেছেন জাভেদ মিয়াঁদাদের দিকে। লিখেছেন, পাকিস্তানের হয়ে খেলার সময়ে অনেক সিনিয়রের কাছ থেকে খুব খারাপ ব্যবহার পেয়েছেন। এবং, কোচ জাভেদ মিয়াঁদাদ তাঁকে ১৯৯৯ সালে ভারতের বিরুদ্ধে চেন্নাই টেস্টের আগে ব্যাটিং প্র্যাক্টিসই করতে দেননি। এমনকি, এ-ও লিখেছেন যে, একটি ম্যাচের পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মিয়াঁদাদ নিজের প্রশংসা করতেও বাধ্য করেছিলেন আফ্রিদিকে। এর পরেই মিয়াঁদাদের প্রতি তিনি পুরোপুরি শ্রদ্ধা হারান বলে আফ্রিদি মন্তব্য করেছেন।
তাঁর এই চাঞ্চল্যকর কাহিনি নিয়ে পাক ক্রিকেটে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কেউ কেউ আবার আফ্রিদির বিপক্ষেও বলেছেন যে, তিনি নিজেই তো বয়স ভাঁড়িয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। তা হলে তাঁর মুখে এ সব অভিযোগ মানায় কী ভাবে? তবে পাক ক্রিকেটের অন্দরমহলে কী চলে, তার নমুনা শুনেও অনেকে বিস্মিত।
বিতর্ককে আরও উস্কে দিয়েছেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। প্রাক্তন সতীর্থকে সমর্থন করে পাকিস্তানের একটি সংবাদপত্রকে শোয়েব বলেছেন, ‘‘আমার তো মনে হয় বইয়ে খুব কমই লিখেছে শাহিদ। আমি নিজের চোখে ওর প্রতি সিনিয়রদের খারাপ ব্যবহার অনেক বার দেখেছি। আমি সম্পূর্ণ ভাবে ওর সঙ্গে একমত। কিছুই খারাপ লেখেনি ও।’’
শোয়েবের চাঞ্চল্যকর দাবি, দশ জন সিনিয়র ক্রিকেটার দুর্ব্যবহার এবং কৃতকর্মের জন্য তাঁদের দু’জনের কাছে পরে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তাঁর আরও বিস্ফোরক দাবি, চার জন ক্রিকেটার তাঁকে এক বার ব্যাট দিয়ে মারতে এসেছিলেন। ‘‘এক বার অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় চার ক্রিকেটার ব্যাট নিয়ে তেড়ে এসেছিল আমাকে মারতে।’’ যদিও প্রাক্তন পাক ব্যাটসম্যান ইমরান ফারহাত পাল্টা দাবি করেছেন, আফ্রিদি খুবই স্বার্থপর ক্রিকেটার এবং অনেকের ক্রিকেটজীবন শেষ করে দিয়েছেন। একের পর এক টুইট করে ফারহাত অভিযোগ করেছেন, কুড়ি বছর ধরে নিজের বয়স নিয়ে মিথ্যা বলা এক জন এখন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের দিকে কাদা ছুড়ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy