Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিনয়ের আড়ালে বদলার ছক কষছেন হার্বার্ট

বদলা শব্দটা তাঁর অভিধানে নাকি নেই! তিনি বিশ্বাসী কঠোর পরিশ্রম আর খেলোয়াড়সুলভ মনোভাবে! সবার সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা, হইহুল্লোর করা তাঁর স্বভাব! সোমবার আটলেটিকো দে কলকাতার ঘরে দাঁড়িয়ে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র কোচ রিকি হার্বার্ট হয়তো সে জন্যই সাফ জানিয়ে দিলেন, “বদলা নিতে কলকাতায় আসিনি। মন দিয়ে নিজেদের খেলাটা খেলতে চাই। বাকিটা ভাগ্যের ব্যাপার। সেটা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমার নেই।”

অনুশীলনের চূড়ায়। নর্থইস্টের প্র্যাক্টিসে গ্রিক গোলকিপার আলেসান্দ্রোস জোরভাস। ছবি: উত্‌পল সরকার

অনুশীলনের চূড়ায়। নর্থইস্টের প্র্যাক্টিসে গ্রিক গোলকিপার আলেসান্দ্রোস জোরভাস। ছবি: উত্‌পল সরকার

প্রীতম সাহা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:১১
Share: Save:

বদলা শব্দটা তাঁর অভিধানে নাকি নেই!

তিনি বিশ্বাসী কঠোর পরিশ্রম আর খেলোয়াড়সুলভ মনোভাবে!

সবার সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা, হইহুল্লোর করা তাঁর স্বভাব!

সোমবার আটলেটিকো দে কলকাতার ঘরে দাঁড়িয়ে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র কোচ রিকি হার্বার্ট হয়তো সে জন্যই সাফ জানিয়ে দিলেন, “বদলা নিতে কলকাতায় আসিনি। মন দিয়ে নিজেদের খেলাটা খেলতে চাই। বাকিটা ভাগ্যের ব্যাপার। সেটা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমার নেই।”

শুরুতে এহেন নর্থইস্ট কোচকে দেখে বোঝার উপায় নেই, তিনি বদলার মনোভাব নিয়েই আসলে এসেছেন! কথাবার্তা আর হাবভাবে বন্ধুত্বের এমন রং লেপ্টে! কলকাতার টিম প্র্যাক্টিস শেষে যখন টানেল দিয়ে বেরোচ্ছে, তখন নিজেই প্রতিপক্ষ কোচ-ফুটবলার সবার সঙ্গে ডেকে ডেকে কথা বললেন। গার্সিয়াদের গোলকিপার কোচকে তো আলাদা করে শুভেচ্ছাও জানালেন, মঙ্গলবারের ম্যাচের জন্য। আটলেটিকোর প্র্যাক্টিস সেরে বেরোনো আর নর্থইস্টের প্র্যাক্টিস শুরুর মাঝের সময়টা যেন পুনর্মিলন উত্‌সবের ঠিকানা হয়ে উঠল যুবভারতী!

কিন্তু নর্থইস্টের বহিরঙ্গের ছবিটা অন্দরমহলের তুলনায় কতটাই না আলাদা! হাবাসের দল যুবভারতী ছাড়তেই হার্বার্টের দলের আসল চেহারাটা বেরিয়ে এল। যে কোচ ‘বদলা চাই না’, ‘বদলা চাই না’ বলে কিছুক্ষণ আগেও গলা ফাটাচ্ছিলেন, সেই নর্থইস্ট কোচ প্র্যাক্টিসে নামতেই একেবারে অন্য মানুষ। প্রথম পঁচিশ মিনিট কঠোর ফিজিক্যাল ট্রেনিং সেরেই সিচুয়েশন প্র্যাক্টিস শুরু। মাঠকে তিরিশ গজে ছোট করে আটলেটিকোর মাঝমাঠকে ঘেঁটে দেওয়ার প্রস্তুতি।

আরও স্পষ্ট ভাবে ফিকরুর বল-সাপ্লাই কী ভাবে বন্ধ করা যায়, তারই ছক কষলেন হার্বার্ট। কেননা হাবাসের ‘এক স্ট্রাইকার’ স্ট্র্যাটেজি এবং তার ঠেলায় কলকাতার গোল-সমস্যায় ভোগান্তির খবর এখন দেশের সুদূর উত্তর-পূর্বেও আর অজানা নয়। হার্বার্ট পরে বলছিলেন, “আমরা আট ম্যাচে ছ’গোল করেছি। সেটা যেমন টিমের জন্য ভাল নয় তেমনই আটলেটিকোও শেষ কিছু ম্যাচে গোল পায়নি। তবে ওদের মাঝমাঠটা ভাল খেলছে।”

গোটা নর্থইস্ট যখন হার্বার্টের কাছে ব্যস্ত, তখন কাপদেভিয়াকে দেখা গেল উল্টো দিকের গোলপোস্টে সহকারী কোচকে নিয়ে একা একা অনুশীলন করছেন। কখনও গোলে শট। কখনও শট আটকাচ্ছেন ‘গোলকিপার’ হয়ে। হার্বার্টের গোপন অস্ত্র অবশ্য এই স্প্যানিশ তারকা নন। বরং দক্ষিণ কোরিয়ান মিডিও ডো ডং হুন। টিম সূত্রের খবর, যাঁকে আটলেটিকো মাঝমাঠ আটকাতে ধ্বংসাত্মক ফুটবল খেলার দায়িত্ব দিয়েছেন চার বছর আগের নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ কোচ হার্বার্ট।

বিনয়ের আড়ালে যে বদলার ছকই কষছেন অকল্যান্ডের বাসিন্দা!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE