Advertisement
১১ মে ২০২৪
India

India tour of Sri Lanka: শ্রীলঙ্কা সফরের আগে লক্ষ্য জানিয়ে দিলেন রাহুল দ্রাবিড়

১৩, ১৬ ও ১৮ জুলাই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে ভারত। এরপর ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাই তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

শ্রীলঙ্কা সফরে সবাইকে সুযোগ দিতে চান রাহুল দ্রাবিড়।

শ্রীলঙ্কা সফরে সবাইকে সুযোগ দিতে চান রাহুল দ্রাবিড়। ফাইল চিত্র

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২১ ১৫:৫৯
Share: Save:

শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার আগে নিজের লক্ষ্য জানিয়ে দিলেন রাহুল দ্রাবিড়। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির পরিচালকের তত্ত্বাবধানে অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দল ও ভারত এ দলের সবাই সমান ভাবে সুযোগ পেয়েছিল। সেই মানসিকতা নিয়েই শিখর ধওয়নের সঙ্গে কাজ করতে চাইছেন ভারতের দ্বিতীয় সারির দলের মুখ্য প্রশিক্ষক। জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকার সময় এই নীতি মেনে চলতেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবেল’। ১৩, ১৬ ও ১৮ জুলাই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে ভারত। এরপর ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাই তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সব ম্যাচ কলম্বোতে খেলা হবে।

দ্রাবিড় নিজের জীবনের উদাহরণ টেনে বলছেন, “ছোটবেলা থেকে কোচিং করানো পর্যন্ত জীবনে কয়েক হাজার ক্রিকেটার দেখেছি। এমন অনেক ক্রিকেটার দেখেছি যারা নিজের রাজ্য দলের হয়ে দারুণ ফল করার জন্য অনূর্ধ্ব ১৯ ও ভারত এ দলে সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু এরপরেও তাদের প্রথম একাদশে নেওয়া হত না। এতে একজন ক্রিকেটার মানসিক ভাবে অনেক পিছিয়ে যায়। কোচ হিসেবে আমি সেটা হতে দিতে পারি না। সবার সুযোগ পাওয়ার সমান অধিকার আছে। একটা ছেলে ঘরোয়া মরসুমে ৭০০-৮০০ রান করার পর সে ভারত এ দলে সুযোগ পায়। সেখানে যদি ছেলেটি মাঠে নামতে না পারে, তাহলে সে কতটা ভাল সেটা কীভাবে জানা যাবে? বড় মঞ্চে সুযোগ না পেয়ে সে বাকিদের থেকে তো পিছিয়ে যাবেই, মানসিক দিক থেকেও ভেঙে পড়বে। তাকে ফের সবকিছু শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। এরপরেও পরবর্তী মরসুমে সেই ছেলেটি যে আবার ৭০০-৮০০ রান করতে পারবে, এমন নিশ্চয়তা কিন্তু নেই। তাই আমার অধিনায়কত্ব কিংবা কোচিং জমানায় যারা খেলেছে তাদের পর্যাপ্ত সুযোগ দিয়েছি। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরেও সেই নীতি বজায় রাখব।”

বাইশ গজে বিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেদের মেলে ধরার জন্য শুধু কঠিন মানসিকতা থাকলেই চলবে না, কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য শারীরিক সক্ষমতাও বাড়াতে হবে। এই প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালের আগে পর্যন্ত ভারতীয় দলের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। দ্রাবিড় বলেন, “১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলে অনেক ভাল ক্রিকেটার ছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলোর থেকে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। কারণ সেই সময়ের ক্রিকেটাররা শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যাপারে কখনও উদ্যোগ নেয়নি। সেটা মাঠের লড়াইয়ে বোঝা যেত। তবে এখন ভারতের সিনিয়র দলের মানসিকতা একেবারে বদলে গিয়েছে। সিনিয়রদের দেখে শিক্ষা নিচ্ছে ভারত এ ও অনূর্ধ্ব ১৯ দল। তাই কঠিন মানসিকতার ক্রিকেটারের অভাব নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE