উল্লাস: প্রীতমের (বাঁ-দিকে) গোলে উচ্ছ্বসিত সতীর্থেরা। আইএসএল
এটিকে ২
এফসি গোয়া ০
যুবভারতীতে ম্যাচটা শুরুর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় এটিকে ও মোহনবাগান সংযুক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ছিল বেশ কিছু এটিকে সমর্থকের রোষ। যুবভারতীর ভিআইপি গ্যালারিতে ততক্ষণে হাজির হয়ে গিয়েছেন মোহনবাগানের সহ-সচিব ও অর্থসচিব। একই সোফায় তাঁরা বসেছিলেন এটিকের দুই মালিক সঞ্জীব গোয়েনকা ও উৎসব পারেখের সঙ্গে।
মাস কয়েক আগে গোয়ায় গিয়ে এই ম্যাচটাতেই ০-১ হেরে এসেছিল এটিকে। এ দিন তার মধুর বদলা হল।
গোয়ায় প্রথম পর্বের ম্যাচের পরে মাথা গরম করেছিলেন এটিকে কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। কিন্তু এই ম্যাচে নির্বাসিত থাকায় তিনিও ছিলেন ভিআইপি বক্সে। তবে তাঁর রণনীতি অনুযায়ী ৩-৪-২-১ ছকে দল সাজিয়েছিলেন এটিকের সহকারী কোচ ম্যানুয়েল পেরেস।
ঘরের মাঠে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক হলেও প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ তৈরি করেও গোল পায়নি এটিকে। প্রথমার্ধে খেলার ফল ছিল গোলশূন্য। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ডান দিক থেকে রয় কৃষ্ণের জোড়া মাইনাসে দু’গোল করে এটিকে। প্রথমটি ৪৭ মিনিটে। হেডে গোল করেন প্রীতম কোটাল। আর ৮৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে এটিকেকে প্রথম স্থানে তুলে আনেন জয়েশ রানে। ম্যাচের পরে প্রীতম বলে গেলেন, ‘‘এটিকের জার্সি গায়ে প্রথম গোল করলাম। নিখুঁত পরিকল্পনার ফসল এই গোল। এই জয়টা দরকার ছিল।’’জেতার ফলে ১৩ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট হল এটিকের। গোল পার্থক্যে দ্বিতীয় স্থানে রইল এফসি গোয়া। সমসংখ্যক ম্যাচে তাদের পয়েন্টও ২৪।
এটিকে: অরিন্দম ভট্টাচার্য, অগাস্তিন গার্সিয়া, ভিক্টর মনগিল আদেবা, প্রীতম কোটাল, প্রবীর দাশ, সুমিত রাঠি, আর্মান্দো সোসা পেনা, ফ্রান্সিসকো হাভিয়ের হার্নান্দেজ গঞ্জালেস, জবি জাস্টিন (জয়েশ রানে), রয় কৃষ্ণ (বলবন্ত সিংহ), সুসাই রাজ (আনাস এডাথোডিকা)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy