ওয়ার্নার। যখন দুর্ভাগ্যের শিকার। ছবি: রয়টার্স
প্রথম দিন বোলারদের দাপটে পড়েছিল ১৫ উইকেট। দ্বিতীয় দিনটা ধুয়ে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। তৃতীয় দিনে এসে ব্যাটসম্যানদের দাপট দেখা গেল অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্টে। সেঞ্চুরি পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি’কক। যার পাল্টা বড় রান তুলছেন উসমান খোয়াজা। তার মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খারাপ ঘটনা, ডেভিড ওয়ার্নারের দুর্ভাগ্যজনক আউট। ওয়ার্নারের থাইগার্ডে লেগে লাফিয়ে ওঠা বল হাতের ধাক্কায় সোজা গিয়ে স্টাম্প উড়িয়ে দেয়। ক্রিকেট ইতিহাসে এটা সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আউট কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনাও শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রথম ইনিংসে স্টিভ স্মিথরা ৮৫ রানে গুঁড়িয়ে গেলেও সোমবার দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ১২১-২। অবশ্য প্রথম ইনিংসে ২৪১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলীয় ওপেনার জো বার্নস শূন্যতে ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রাথমিক ধাক্কা সামলে খোয়াজা (৫৬ ব্যাটিং) এবং ওয়ার্নারের (৪৫) ব্যাটে ভর করে পাল্টা লড়াইয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। খোয়াজার সঙ্গে ক্রিজে আছেন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ (১৮ ব্যাটিং)। ইনিংস হার এড়াতে আরও ১২০ রান দরকার অস্ট্রেলিয়ার।
এ দিন প্রথম ইনিংসে ১৭১-৫ থেকে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা অল আউট হয় ৩২৬ রানে। ১৪৩ বলে ঝকঝকে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন ডি’কক। টেস্টে শেষ পাঁচ ইনিংসেই পঞ্চাশের বেশি রান করেছেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন বাভুমা (৭৪)। দু’জনে ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করেন ১৪৪ রান। যা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ।
অস্ট্রেলীয় বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন পেসার জশ হ্যাজলউড (৬-৮৯)। টেস্টে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ইনিংসে ছয় উইকেট নিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy