Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Mohammad Azharuddin

‘অভিমানে’ রায়ডুর অবসর নিয়ে এ বার প্রধান নির্বাচকের সমালোচনায় আজহারউদ্দিন

আজহারউদ্দিন বলেন, “যদি কাউকে স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়, তা হলে কোনও খেলোয়াড় চোট পেলে সেই স্যান্ড বাই খেলোয়াড়দেরই দলে সুযোগ দেওয়া উচিত। যদি আপনি একজন নির্বাচক হন, তা হলে আপনার ক্ষমতা আছে দলের অধিনায়ক ও কোচের পছন্দকে প্রত্যাখ্যান করার।”

রায়ডু প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচককে বিঁধলেন আজহারউদ্দিন।

রায়ডু প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচককে বিঁধলেন আজহারউদ্দিন।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৯ ২০:০৪
Share: Save:

আম্বাতি রায়ডুর অবসর নিয়ে এ বার নির্বাচক মণ্ডলীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বলেন, “যদি কাউকে স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়, তা হলে কোনও খেলোয়াড় চোট পেলে সেই স্যান্ড বাই খেলোয়াড়দেরই দলে সুযোগ দেওয়া উচিত। যদি আপনি একজন নির্বাচক হন, তা হলে আপনার ক্ষমতা আছে দলের অধিনায়ক ও কোচের পছন্দকে প্রত্যাখ্যান করার।”

বেশ কয়েকদিন ধরে ভারতীয় দলের হয়ে চার নম্বরে খেলে আসা আম্বাতি রায়ডুকে বাদ দিয়ে, তার বদলে বিজয় শঙ্করকে বিশ্বকাপ দলের ১৫ জনের তালিকায় নিয়ে ছিলেন নির্বাচকেরা। এর পেছনে নির্বাচক মণ্ডলীর প্রধান এমএসকে প্রসাদ যুক্তি দিয়ে ছিলেন, বিজয় শঙ্কর হল একজন ‘থ্রি ডাইমেনশনাল প্লেয়ার’, অর্থাৎ ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিনটে বিভাগেই দক্ষ।

এর পর রায়ডু তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, “এখনই অর্ডার করলাম একটা থ্রিডি চশমার নতুন সেট, বিশ্বকাপ দেখার জন্য।”

অনেকেই মনে করেন, রায়ডুর করা এই টুইটটাই কাল হয়েছিল বিশ্বকাপ চলাকালীন বিকল্প খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর সুযোগ না পাওয়ার জন্য। চোটের জন্য প্রথমে শিখর ধওয়ান বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলে নেওয়া হয় রিষভ পন্থকে। পরে বিজয় শঙ্কর যখন চোট পেলেন, তখনও রায়ডুকে না নিয়ে নেওয়া হয়েছিল মায়াঙ্ক অগ্রবালকে, যে মায়াঙ্ক আবার আগে কখনও ভারতের হয়ে কোনও এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচই খেলেননি।

আরও পড়ুন: বিরাটদের মোকাবিলায় ডাক পড়ল নারাইন, পোলার্ডদের, দেখে নিন ভারতের বিরুদ্ধে ক্যারিবিয়ান টি২০ দল

এর পরপরই অভিমানে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেন আম্বাতি রায়ডু।

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বিপর্যয়ের পর বদলি খেলোয়াড় নিয়ে বিতর্ক আবার নতুন করে সামনে আসে। রায়ড়ুর অবসর নিয়েও অনেকে তোপ দাগতে শুরু করেন নির্বাচকদের। তখন এমএসকে প্রসাদ বলেন, “যখন আমরা কোনও খেলোয়াড়কে নির্বাচন করি এবং সে ভাল পারফর্ম করে তাতে আমরা যেমন আনন্দিত হই, তেমনই এই ভাবে কোনও খেলোয়াড় চলে গেলে তাঁর জন্যও নির্বাচক মণ্ডলী ভাবে। আমরা যে বিজয় শঙ্কর, রিষভ পান্থ ও মায়াঙ্ক অগ্রবালকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার পেছনে কোনও রকম পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি।”

আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডার অব দ্য ইয়ার হতে চান না স্টোকস

শোনা যাচ্ছে, কোচ এবং ক্যাপ্টেনের ইচ্ছেতেই ইংল্যান্ডে বদলি প্লেয়ারদের নাম ঠিক করেন নির্বাচকরা। সেই প্রসঙ্গেই আজহারের বক্তব্য, “আপনি আপনার পা শক্ত করে মাটিতে রেখে এটা বলতে পারেন, না আমরা এই খেলোয়াড়কেই পাঠাবো। আমিও যখন অধিনায়ক ছিলাম, তখন আমিও অনেক খেলোয়াড়কে চেয়েছিলাম দলে। কিন্তু নির্বাচক মণ্ডলী অনেক ক্ষেত্রেই না করে দিয়েছিল। এটাই হয়ে আসছে। কিন্তু এই ব্যপারে তাঁর (এমএসকে প্রসাদের) সাফাইকে আমি সমর্থন করতে পারছি না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE