Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Sports

মেসির হ্যাটট্রিকে বার্সার সাত গোলের বন্যা, ছাপালেন রোনাল্ডোকে

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই নিয়ে ছ’টি হ্যাটট্রিক। তিনি মেসি। এ ভাবেও ফিরে আসা যায়। এ ভাবেও জবাব দেওয়া যায়। এ ভাবেও এক দুই নয় তিন গোল লিখে নেওয়া যায় নিজের নামের পাশে। অনেক সমালোচনা, অনেক যন্ত্রণার জবাব হয়তো এ ভাবেই দেন সেরারা।

হ্যাটট্রিকের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স।

হ্যাটট্রিকের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:৫২
Share: Save:

বার্সেলোনা ৭ (মেসি ৩, নেইমার, ইনিয়েস্তা, সুয়ারেজ ২)

সেল্টিক ০

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই নিয়ে ছ’টি হ্যাটট্রিক। ছাপিয়ে গেলেন রোনাল্ডোকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সিআর সেভেনের হ্যাটট্রিক সংখ্যা পাঁচ।

এ ভাবেও ফিরে আসা যায়। এ ভাবেও জবাব দেওয়া যায়। এ ভাবেও এক দুই নয় তিন গোল লিখে নেওয়া যায় নিজের নামের পাশে। অনেক সমালোচনা, অনেক যন্ত্রণার জবাব হয়তো এ ভাবেই দেন সেরারা। নিন্দুকেরা অবশ্য বলবেন, এ তো ক্লাবের হয়ে। দেশের হয়ে কী আছে?

তবুও মেসি তো মেসিই। কোপার যন্ত্রণা বুকে করে দেশের জার্সি খুলে রাখা নিওনেল মেসি যখন আবার ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তখন খুব ভাল করে জানতেন এই ফেরাটাও বিদ্ধ হবে প্রতি মুহূর্তে। তবুও দেশের স্বার্থে ফিরেছেন। তিনি তো মেসি। দেশের হয়ে কম গোল, দেশকে কোনও বড় ট্রফি দিতে না পারার যন্ত্রণাটা সেদিন চোখে মুখে ধরা পড়ছিল বিশ্ব ফুটবলের রাজপুত্রের, যখন কোপা ফাইনাল শেষে একা একা রিজার্ভ বেঞ্চে বসে ছিলেন। চোখ থেকে গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছিল জল। তবুও তিনি মেসি। তাঁর কাঁধেই বন্দুকটা রেখে বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছনো, কোপা আমেরিকার ফাইনালে পৌঁছনো। এই পৌঁছনোটা তো মেসিহীন ছিল না। মেসির দুরন্ত ফ্রিকিকটা যখন বাঁক খেয়ে প্রতিপক্ষের গোলে ঢুকে যায় তখন মুগ্ধ হয়ে দেখা ছাড়া যে কিছুই করার থাকে না। তাঁকে নিয়ে তো কাটাছেড়া হবেই। তাঁকে নিয়ে তো সমালোচনার ঝড় উঠবেই। এ আর এমন কী।

কিছুটা সময় নিজের জন্য। কিছুটা সময় নিজেকে ফিরে পাওয়ার। আবার স্বমহিমায় তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ক্যাম্প ন্যু দেখল সেই মেসিকে। যাঁর পা থেকে বেরিয়ে আসা এক একটা গোল এক একটা গান, এক একটা শিল্প তৈরি করে যায়। সেল্টিকের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে বুঝিয় দিলেন গোলটা যে তাঁর সম্পদ। আর ওই শিল্পটাও।

ম্যাচ শুরুর তিন মিনিটের মধ্যেই কর্নার থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মেসি। এর পর সেল্টিকের পেনাল্টি মিস। ২৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল মেসির। নেইমারের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলেই বক্সের মধ্যে থেকে ছোট্ট টোকা। গোল। পেনাল্টি মিস আর মেসির জ্বলে ওঠা ততক্ষণে প্রায় খেলা থেকেই ছিটকে দিয়েছে সেল্টিককে। মেসির পথ ধরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জ্বলে ওঠা নেইমারের। ৫০ মিনিটে বার্সেলোনার হয়ে ৩-০ করলেন তিনি। এর পর ইনিয়েস্তার এক, সুয়ারেজের জোড়া গোল। মাঝে ৬০ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক সেরে ফেলা মেসির। এটাই তো টিম ওয়ার্ক। এটাই তো টিম গেম। বার্সেলোনায় যেটা আছে সেটা যে আর্জেন্তিনায় নেই। নেই একটা নেইমার, ইনিয়েস্তা, সুয়ারেজ। তাও মেসি পারেন দেশকে ফাইনালে তুলতে, ট্রফির স্বপ্ন দেখাতে।

মঙ্গলবার রাতে অন্য ম্যাচে পিএসজি-র সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করল আর্সেনাল। বায়ার্ন মিউনিখ ৫-০ গোলে হারিয়ে দিল রোস্তভকে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ১-০ গোলে জিতল পিএসভির বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন:
এ বার কি বার্সেলোনা ছাড়ছেন মেসি?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lionel Messi Barcelona Champions League
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE