শেষ পর্যন্ত তামিলনাড়ু ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়েই ফিরতে হচ্ছে বাংলাকে। আগের দিনই তামিলনাড়ু প্রথম ইনিংসে লিড নিশ্চিত করে ফেলেছিল। বুধবার অভিনব মুকুন্দদের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ৩৫৪ রানে। জবাবে বাংলা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামলে ধসের মুখে পড়ে মনোজ তিওয়ারিদের টপ অর্ডার। শেষ পর্যন্ত বাংলা ন’উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান তোলার পর ম্যাচ ড্র হয়ে যায়।
রাজকোটে বুধবার বাংলার দুই ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরন (১২), সায়নশেখর মণ্ডল (২৮) ছাড়াও দ্রুত ফিরে যান মনোজ তিওয়ারি (৭), অগ্নিভ পান (০)-রাও। শ্রীবৎস গোস্বামী (৬১) ও আমির গনি (৪৫) ছাড়া কেউ বড় রান পাননি। শেষের দিকে চালিয়ে খেলে ২৫ বলে ২৮ রান করে যান অশোক দিন্দা। তামিলনাড়ু বোলারদের মধ্যে ১৩ ওভার বল করে ২৯ রান খরচ করে তিন উইকেট পেয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
এ দিনের ড্রয়ের ফলে চার ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট হল বাংলার। ‘এ’ গ্রুপে এই মুহূর্তে বাংলা রয়েছে পাঁচ নম্বরে। পাঁচ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত শীর্ষে মুম্বই। ছয় ম্যাচে ২০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে দু’নম্বরে রইল তামিলনাড়ু।
তামিলনাড়ু ম্যাচ ড্রয়ের পর বাংলার কোচ সাইরাজ বাহুতুলে দুষেছেন নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই। রাজকোট থেকে তিনি বলেন, ‘‘ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্যই এই ম্যাচ ড্র করে ফিরতে হচ্ছে। তবে এখনও অনেক ম্যাচ বাকি। ছেলেদের বলেছি এই ম্যাচ ভুলে পরের ম্যাচগুলোর জন্য মনোনিবেশ করতে।’’
অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিও বলেন, ‘‘ঠিক সময়েই ধাক্কাটা খেলাম আমরা। আমাদের টিমের জন্য এটা একটা সতর্কবার্তা বলা যায়। আত্মতুষ্টি ভুলে দ্রুত আমাদের ভুলগুলো শুধরে নিতে হবে।’’ এ দিকে এ দিনই সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের এমআরআই রিপোর্ট হাতে এসেছে। টিম সূত্রে খবর, বাংলার এই ব্যাটসম্যানের চোট খুব একটা গুরুতর নয়।
রোহতকে বাংলার পরবর্তী ম্যাচ ২১ নভেম্বর থেকে। প্রতিপক্ষ বরোদা। সেই ম্যাচের জন্য অতিরিক্ত বোলার হিসেবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মুকেশ কুমারকে। বাকি টিম অপরিবর্ত।