Advertisement
E-Paper

জাতীয় জুনিয়র টেনিসে রানার আপ আকাঙ্খা, ফাইনালে হারলেও বিশেষ পুরস্কার বাংলার টেনিস খেলোয়াড়কে

জাতীয় জুনিয়র টেনিস প্রতিযোগিতায় রানার আপ হয়েছে আকাঙ্খা ঘোষ। বাংলার টেনিস খেলোয়াড় ফাইনালে হেরেছে মহারাষ্ট্রের পার্থসারথি অরুণ মুন্ডের কাছে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৫ ২০:১৩
sports

রানার আপ ট্রফি হাতে আকাঙ্খা ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত।

অল্পের জন্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া হল না। জাতীয় জুনিয়র টেনিস প্রতিযোগিতায় রানার আপ হয়েছে আকাঙ্খা ঘোষ। বাংলার টেনিস খেলোয়াড় ফাইনালে হেরেছে মহারাষ্ট্রের পার্থসারথি অরুণ মুন্ডের কাছে। ফাইনালে হারলেও বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে আকাঙ্খা।

চেন্নাইয়ে লাল সুরকির কোর্টে অনূর্ধ্ব-১৮ টেনিস প্রতিযোগিতা ছিল। অনূর্ধ্ব-১৬ স্তরে খেলা আকাঙ্খা সেখানে সিঙ্গলসের ফাইনালে ওঠে। পাঁচটা রাউন্ড টপকে ফাইনালে ওঠায় আকাঙ্খাকে নিয়ে আশা তৈরি হয়েছিল। ফাইনালে পার্থসারথির কাছে স্ট্রেট সেটে (১-৬, ৫-৭) হারে সে। প্রথম সেটে দাঁড়াতে না পারলেও দ্বিতীয় সেটে লড়াই করে আকাঙ্খা।

জিততে না পারলেও আকাঙ্খার কৃতিত্ব কম নয়। প্রথম বার এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে পশ্চিমবঙ্গের কোনও মেয়ে উঠল। এই প্রতিযোগিতার পর দেশের ‘সবচেয়ে প্রতিভাবান টেনিস’ খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছে আকাঙ্খা। বাংলার প্রথম মহিলা টেনিস খেলোয়াড় হিসাবে এই কীর্তি করেছে সে।

গত বছর অনূর্ধ্ব-১৬ ডাবলসে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আকাঙ্খা। বেশ কয়েক বছর টেনিসে জাতীয় স্তরে বাঙালিদের তেমন সাফল্য নেই। সেই জায়গা ফিরিয়ে এনেছে আকাঙ্ক্ষা। ২০২৩ সালে প্রথম বাঙালি হিসাবে অনূর্ধ্ব-১৬ এশিয়ান জুনিয়র টেনিসের ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সে। সিঙ্গলসে ফাইনালে হারতে হয়েছিল। তার পরে ২০২৪ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়া। মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে লাল সুরকির কোর্টে হওয়া প্রতিযোগিতায় মহারাষ্ট্রের পার্থসারথির সঙ্গে জুটি বেঁধেছিল সে। বিপক্ষে ছিল শীর্ষ বাছাই হরিয়ানার অনিন্দিতা উপাধ্যায় ও পঞ্জাবের রঞ্জনা সংগ্রাম। ফাইনালে তিন সেটের লড়াইয়ে (৪-৬, ৭-৫, ১১-৯) জেতে আকাঙ্ক্ষারা।

আকাঙ্ক্ষার টেনিস শুরু ৬ বছর বয়সে। প্রথমে ‘ক্যালকাটা জিমখানা ক্লাব’। সেখানে অনুশীলন করে রাজ্য স্তরে অনূর্ধ্ব-৮ ও অনূর্ধ্ব-১০ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। তার পরে আকাঙ্ক্ষা অনুশীলন শুরু করে শিবিকা বর্মণের কাছে। শিবিকা এ রাজ্যের টেনিসে বড় নাম। সানিয়া মির্জ়ার সঙ্গে খেলেছেন। ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কিন্তু চোট ভুগিয়েছে তাঁকে। ফলে মাত্র ২৬ বছর বয়সে টেনিস ছেড়ে কোচিং শুরু করেছেন। সেই শিবিকার অধীনে গত ছ’বছর ধরে আছে আকাঙ্ক্ষা। এই সময়ের মধ্যে দু’বার রাজ্য স্তরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সে।

Tennis
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy