বিচারপতি লোঢা কমিটির সুপারিশ কী ভাবে বাস্তবায়িত করা হবে, তা নিয়ে আলোচনার জন্যই শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বিশেষ সাধারণ সভা ডেকেছিল বোর্ড। কিন্তু যা পরিস্থিতি, তাতে বোর্ডের এই সভায় লোঢা সুপারিশ বাস্তবায়নের অসুবিধাগুলো নিয়েই বেশি আলোচনা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। বোর্ডের নতুন আইনি উপদেষ্টা মার্কণ্ডেয় কাটজুরও এই সভায় থাকার কথা।
লোঢার এক জোড়া সুপারিশ নিয়েই যত সমস্যা। সত্তরোর্ধ ও মোট ন’বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকা ক্রিকেট প্রশাসকদের উপর নিষেধাজ্ঞা বহু রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার অস্তিত্বই সঙ্কটে ফেলেছে বলে অভিযোগ। বোর্ডের সদর দফতর যেখানে, সেই মুম্বইয়ের ক্রিকেট সংস্থাতেই বর্তমান প্রশাসকদের প্রায় সকলকেই সরে যেতে হবে। এ ছাড়া তিন বছর অন্তর দু’বছরের ‘কুলিং অফ পিরিয়ড’ ও মোট ন’বছরের মেয়াদ নিয়েও আতঙ্ক ও সংশয় দেখা দিয়েছে কর্তাদের মধ্যে। বহু সুপারিশ মানতে গেলে যে আইনি জট সৃষ্টি হবে, সেগুলো শুক্রবার বিচারপতি কাটজুকে জানাবেন রাজ্য সংস্থার কর্তারা।
সরকারি বৈঠক শুক্রবার। কিন্তু এ দিন থেকেই তার মহড়া শুরু হয়ে যায়। বিভিন্ন কর্তারা বোর্ড আইনজীবীদের সঙ্গে বসে পড়েন বলে শোনা গেল। খবর আরও1 একটা আছে। তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থা প্রেসিডেন্ট নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন শেষ পর্যন্ত মত পাল্টে নয়াদিল্লি বৈঠকে আসছেন না। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তাই খবর। ঘনিষ্ঠদের এ দিন শ্রীনি বলে দেন, বোর্ড বৈঠকে যাওয়া নিয়ে ভেবেছিলেন ঠিকই, কিন্তু গেলে তাঁকে নিয়ে ফের বিতর্কিত পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যেতে পারে। যা তিনি চান না।