দুর্ধর্ষ একটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হয়ে যাচ্ছে আইপিএল নাইন। এটাও কুড়ি ওভারের ক্রিকেট, কিন্তু লোকের সমর্থন পাল্টে যাবে। গোটা দেশের স্টেডিয়াম বিশ্বকাপের গোলাপি ছেড়ে নিজের নিজের ফ্র্যাঞ্চাইজির রঙে সেজে উঠেছে। ইডেন যেমন আবার বেগুনি হয়ে গিয়েছে।
শক্তি আর স্বাধীন মানসিকতার জোরে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে স্বতন্ত্র দেখিয়েছে। আমি নিশ্চিত এই আইপিএলে বাকি প্লেয়াররা ওদের উপর নজর রাখবে। গত বার ইডেনে ট্রফি জিতেছিল মুম্বই। তাই এ বছর টুর্নামেন্ট উদ্বোধন ওয়াংখেড়েতে, চ্যাম্পিয়ন মুম্বই আর নতুন টিম পুণের ম্যাচ দিয়ে।
গত বছর মুম্বই দারুণ খেলেছিল। যার জন্য বেশি কৃতিত্ব প্রাপ্য রিকি পন্টিং আর রোহিত শর্মার। তবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে এই পুণে টিমটাও শক্তিশালী। স্কোয়াডে অনেক প্লেয়ার আছে যারা অনেক বছর ধরে ধোনির নেতৃত্বে খেলেছে। যার সঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন কিছু নাম। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে পুণে টিমটা বেশ ভাল হবে। অন্য নতুন টিম গুজরাতও ভাল স্কোয়াড বেছেছে। কিন্তু পুণের বাড়তি সুবিধে হল ওদের সাপোর্ট স্টাফ, যারা বহু বছর ধোনির সঙ্গে কাজ করে অভ্যস্ত।
বেশ অনেক বছর ধরেই বেঙ্গালুরু ভাল টিম। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেমন দেখাল যে গেইল বড় রান না পেলেও ওরা জিততে পারে, বেঙ্গালুরুকেও সে ভাবে দেখাতে হবে যে ওরা বাকিদের কাঁধে ভর করে এগোতে পারে। ওদের টিমে কয়েকটা চোট আছে কিন্তু ওদের চ্যালেঞ্জ হল, বিরাট কোহালি আর এবি ডে’ভিলিয়ার্স কি ট্রফি জেতানো পারফরম্যান্স করতে পারবে? ওদের ফ্র্যাঞ্চাইজি সেটা দাবি করবে। সত্যি বলতে কী, টিমের সেই ক্ষমতা আছে।
বাংলার ঘরের টিম কলকাতা নাইট রাইডার্স সব সময়ই ভাল ভারসাম্যের দল। আন্দ্রে রাসেলের ফর্ম ওদের পক্ষে ভাল খবর। কিন্তু সেরা খবর হল সুনীল নারিনের ছাড়পত্র পেয়ে যাওয়া। কলকাতার দুটো ট্রফি জয়ের প্রধান কারিগর নারিন। তবে বল করার সময় অ্যাকশনের কথাও ওর মাথায় ঘুরবে। নারিনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে গোটা টুর্নামেন্ট খেলতে পারা।
বিশ্বকাপ শেষ, কিন্তু হইহুল্লোড় বেশ কিছু দিন চলবে। গোটা বিশ্বের ক্রিকেট ভক্তরা আরও ৫৫ দিন দারুণ কিছু ম্যাচ দেখতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy