Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Cameron Bancroft

বল-বিকৃতি কাণ্ডে বিস্ফোরক ব্যানক্রফ্ট: বোলাররাও জানত

কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে এখন ইংল্যান্ডে আছেন ব্যানক্রফ্ট। ইংল্যান্ডের এক সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি

ত্রিমূর্তি: অস্ট্রেলিয়ার সেই বল-বিকৃতি কাণ্ডের তিন পাণ্ডা। (বাঁ দিক থেকে) ব্যানক্রফ্ট, ওয়ার্নার, স্মিথ।

ত্রিমূর্তি: অস্ট্রেলিয়ার সেই বল-বিকৃতি কাণ্ডের তিন পাণ্ডা। (বাঁ দিক থেকে) ব্যানক্রফ্ট, ওয়ার্নার, স্মিথ। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২১ ০৭:৩৭
Share: Save:

ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট ব্যাটসম্যান হতে পারেন, কিন্তু তাঁর ‘বাউন্সার’ এখন রীতিমতো বেসামাল অবস্থায় ফেলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটকে। দেখা যাচ্ছে, বল বিকৃতি কেলেঙ্কারির ছায়া তাড়া করে চলেছে স্টিভ স্মিথদের।

২০১৮ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বল বিকৃত করার অভিযোগে শাস্তি পেয়েছিলেন তৎকালীন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ এবং দুই ব্যাটসম্যান— ডেভিড ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফ্ট। এ বার সেই ব্যানক্রফ্ট চাঞ্চল্যকর এক অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, শুধু তাঁরা নন, দলের বোলারেরাও পুরো ঘটনাটা জানতেন। ব্যানক্রফ্টের এই অভিযোগের পরে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড নতুন করে তদন্ত করার কথা ভাবছে।

কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে এখন ইংল্যান্ডে আছেন ব্যানক্রফ্ট। ইংল্যান্ডের এক সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অস্ট্রেলীয় বোলাররা কি জানতেন, আপনি শিরিষ কাগজ দিয়ে বলের পালিশ তুলে দিচ্ছেন? জবাবে ব্যানক্রফ্ট বলেন, ‘‘আমি যেটা করেছিলাম, সেটা তো বোলারদেরই সাহায্য করেছিল। ঘটনাটা সম্পর্কে যে সবাই ওয়াকিবহাল ছিল, তা তো বোঝাই যাচ্ছে।’’ ব্যানক্রফ্টের এই অভিযোগের কথা ছড়িয়ে পড়তেই আসরে নামে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটে তাদের মুখপাত্র বলেন, ‘‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বার বার বলে এসেছে, যদি কারও কাছে সেই ২০১৮ সালের কেপ টাউন টেস্ট নিয়ে নতুন কোনও তথ্য-প্রমাণ থাকে, তবে সে যেন তা জানায়।’’ নতুন তথ্য হাতে এলে তা নিয়ে তদন্ত করার ইঙ্গিত দেওয়ার পাশাপাশি অস্ট্রেলীয় বোর্ডের মুখপাত্র এও বলেছেন, ‘‘ওই সময় খুব খতিয়ে তদন্ত হয়েছিল। ওর পরে কিন্তু কেউ এমন কিছু তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেনি, যা দেখে অস্ট্রেলীয় বোর্ডের তদন্তের ফল নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।’’

কেপ টাউন টেস্টে বল বিকৃতি কাণ্ডের জেরে ব্যানক্রফ্টকে ন’মাস এবং স্মিথ-ওয়ার্নারকে এক বছর নির্বাসিত করা হয়েছিল। ওই সময় কিন্তু কেউ কেউ শুধু এই তিন ক্রিকেটারকে শাস্তি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যেমন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান অ্যালান ল্যাম্ব। ওই সময় ল্যাম্ব পরিষ্কার বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়া দলের বাকি ক্রিকেটারেরাও বল বিকৃতি কাণ্ডের ব্যাপারটা জানতেন।

ব্যানক্রফ্ট সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘আমি যা করেছি, তার দায়িত্বটা আমারই। তবে আমার এই কাজের ফলে বোলাররাই তো উপকৃত হয়েছিল। তাই কারা ব্যাপারটা জানত, তা তো বোঝাই যাচ্ছে।’’ তিনি এও বলেন, ‘‘একটা জিনিস আমি বুঝতে পেরেছিলাম। ওই ঘটনার দায়িত্ব এসে পড়েছিল আমার উপরে। যদি আর একটু সচেতন হতাম, তা হলে আরও ভাল সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম।’’ ঘটনার কথা আর কে কে জানত, এই প্রসঙ্গে প্রশ্নকর্তা একটু চাপাচাপি করলে ব্যানক্রফ্ট বলে দেন, ‘‘পুরো ব্যাপারটা কী ঘটেছিল, তা সবাই বুঝতেই পারছেন।’’ শাস্তির মেয়াদ শেষ করে স্মিথ-ওয়ার্নার অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরে এলেও ব্যানক্রফ্ট ক্রমশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে সরে গিয়েছেন। ২০১৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম দুটো টেস্ট খেলার পরে সেই যে জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁর জন্য, তার পরে আর খোলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE