Advertisement
E-Paper

নেপথ্যে এশিয়া কাপ, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান, বাংলাদেশের সঙ্ঘাত! আরও অনিশ্চিত প্রতিযোগিতা

সময় যত এগোচ্ছে এশিয়া কাপ তত অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অনড় অবস্থান এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভির জেদের সংঘাত অব্যাহত।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৫ ২৩:০৬
picture of cricket

এশিয়া কাপ ট্রফি। —ফাইল চিত্র।

এশিয়া কাপের আশা ক্রমশ কমছে। ঢাকায় গিয়ে বৈঠক করতে নারাজ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্তারা। তবু বৈঠক অন্যত্র সরানোর কোনও ইঙ্গিত দেয়নি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। এসিসি চেয়ারম্যান তথা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মহসিন নকভি নিজের অবস্থানে অনড়। এই পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপ বয়কটের পথে হাঁটতে পারে বিসিসিআই।

আগামী ২৪ এবং ২৫ জুলাই ঢাকার একটি হোটেলে এসিসি-র বার্ষিক সাধারণ সভা। সেখানেই এশিয়া কাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এই সভার আয়োজক। বিসিবি জানিয়েছে, এসিসির সদস্য দেশের সংখ্যা ২৫। তার মধ্যে ১৬-১৭টি দেশ বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। ভারত-সহ কয়েকটি দেশ এখনও নিশ্চিত করেনি। তবে বিসিসিআই কর্তারা যে ঢাকায় যাবেন না, তা আগেই এসিসি কর্তাদের জানিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সে দেশে যেতে নারাজ বিসিসিআই কর্তারা। অন্য কোথাও (পাকিস্তান বাদে) বৈঠক হলে যোগ দিতে রাজি বলেও জানানো হয়েছিল। এসিসির সদস্য দেশগুলির মধ্যে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান এবং ওমানের সমর্থন ভারতের সঙ্গে রয়েছে। ভারত বৈঠকে যোগ না দিলে এই দেশগুলির ক্রিকেট বোর্ডও ঢাকায় প্রতিনিধি না পাঠানোর কথা জানিয়েছে। তিনটি টেস্ট খেলিয়ে দেশ যোগ না দিলে ভেস্তে যেতে পারে এসিসির বার্ষিক সাধারণ সভাও। ফলে ভারতীয় বোর্ডের অনড় অবস্থানের সামনে এক রকম দিশাহারা দশা পিসিবি চেয়ারম্যান নকভির।

এসিসির পূর্ণ সদস্যদেশগুলি হল নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড, হংকং, কুয়েত, সৌদি আরব, ওমান, এবং কাতার। অ্যাসোসিয়েটস সদস্য দেশগুলি হল বাহারিন, ভুটান, কম্বোডিয়া, তাজিকিস্তান, মলদ্বীপ, জাপান, ইরান, চিন, মায়ানমার এবং ইন্দোনেশিয়া। এই দেশগুলির মধ্যে ওমান, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইল্যান্ড, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, বাহরিন, ভুটান, মলদ্বীপ, মায়ানমার এবং ইন্দোনেশিয়াও বৈঠকে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি। এই দেশগুলির ক্রিকেট কর্তারা তাকিয়ে রয়েছেন বিসিসিআইয়ের দিকে।

পূর্ব সূচি অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতে হওয়ার কথা ছিল এশিয়া কাপ। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘর্ষের পর তা আর সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ কোনও দেশে প্রতিযোগিতা হলে তবেই ভারত এবং পাকিস্তান দু’দেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হতে পারে। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) মধ্যস্থতা বৈঠকে পিসিবি কর্তারা জানিয়ে দেন, ভারতে কোনও ক্রিকেট দল পাঠাবেন না তাঁরা।

এই পরিস্থিতিতে ভারত, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের মতো দেশ এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ালে প্রতিযোগিতা আয়োজন অসম্ভব হয়ে পড়বে। এশিয়ার প্রথম সারির ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ হিসাবে পড়ে থাকবে শুধু পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ। বাকি ছোটদেশগুলিকে নিয়ে প্রতিযোগিতা হলে তার কোনও আকর্ষণ থাকবে না। স্পনসরেরাও বেঁকে বসতে পারেন।

পরিস্থিতি আঁচ করে বার্ষিক সাধারণ সভা সিঙ্গাপুরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন এসিসি কর্তাদের একটা অংশ। কিন্তু অনড় অবস্থান বজায় রেখেছেন নকভি। তিনি সবুজ সঙ্কেত না দিলে বৈঠক ঢাকা থেকে সরিয়ে অন্য কোনও দেশে নিয়ে যাওয়া কঠিন। তা ছাড়া বিসিবি কর্তারা সব ব্যবস্থা করে ফেলেছেন। শেষ মুহূর্তে বৈঠক ঢাকা থেকে সরিয়ে দিলে বিসিবি কর্তারাও কঠোর অবস্থান নিতে পারেন। সব মিলিয়ে আগামী এশিয়া কাপ ঘিরে অনিশ্চয়তা বেড়েই চলেছে।

Asia Cup 2025 BCCI BCB PCB ACC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy