ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলে ওপেনারের জায়গা পোক্ত করে নিয়েছেন অভিষেক শর্মা। প্রায় প্রতি ম্যাচেই তাঁর ব্যাট থেকে বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখা যায়। পঞ্জাবের মুল্লানপুরে ঘরের মাঠে প্রথম বার খেলতে নামার আগে অভিষেকের বাবা এবং কোচ অজানা সব তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। জানিয়েছেন, ১১ বছর বয়স থেকেই ছয় মারতে পারদর্শী অভিষেক।
অভিষেককে ছোটবেলায় কোচিং করিয়েছেন তাঁর বাবা রাজকুমার শর্মা। এখন যে ভাবে অভিষেক সাফল্য পাচ্ছেন, তার নেপথ্যে নির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং আত্মত্যাগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। যে কারণে কোনও বোলারকেই তিনি ভয় পান না। তাঁকে দেখলেই বোলারদের মনে ত্রাস তৈরি হয়।
‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ ওয়েবসাইটে রাজকুমার বলেছেন, “ক্রিকেটার হিসাবে নিজেকে উন্নত করার জন্য ও সব কিছু করেছে। ভোর ৪টেয় ওঠে। জিমের পর দৌড় এবং সাঁতারের মাধ্যমে শারীরিক অনুশীলন করে। অনেকেই এই বিষয়টা জানেন না। অভিষেকে নিয়মিত ক্রিকেট খেলতে ভালবাসে। ভারতের ম্যাচ বা আইপিএল না থাকলে পঞ্জাবের হয়ে খেলে। ওদের শিবিরে চলে যায়। সেটাও না থাকলে ক্লাব ক্রিকেট বা অফিসের প্রতিযোগিতায় খেলে। ও সারা ক্ষণ খেলতে চায়।”
পঞ্জাবের যুব দলে অধিনায়ক ছিলেন অভিষেক। সেই দলে খেলতেন শুভমন গিলও। শুভমন দ্রুত এগিয়ে গেলেও অভিষেকের সময় লেগেছে। তবে রাজকুমার জানিয়েছেন, অভিষেকের প্রতিভা সম্পর্কে কোনও দিন তাঁর সন্দেহ ছিল না।
অনূর্ধ্ব-১৪ শিবিরে দু’জনকেই দেখেন পঞ্জাবের তৎকালীন জুনিয়র কোচ অরুণ বেদী এবং ডিপি আজাদ। বেদী বলেছেন, “১১-১২ বছর বয়সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছয় মারত অভিষেক। পেসার হোক কি স্পিনার, এগিয়ে এসে ছয় মারতে পারত। উঁচু করে শট মারত, যা ওই বয়সের ছেলেদের মধ্যে দেখাই যায় না। এতেই বোঝা গিয়েছিল ওর প্রতিভা কতটা।”
ক্রিকেটজীবনে যুবরাজ সিংহের পাশাপাশি ব্রায়ান লারাকেও গুরু মানেন অভিষেক। লকডাউনে যুবরাজ অনেক সময় কাটিয়েছেন অভিষেকের সঙ্গে। রাজকুমার বলেছেন, “এখনও অভিষেক কোনও ভুল করলে যুবরাজ ওকে ফোন করে বকাবকি করবে। অভিষেকও ওকে ভয় পায়।”
আরও পড়ুন:
সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলার সুবাদে লারার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অভিষেকের। রাজকুমারের কথায়, “ছোটবেলায় অভিষেক লাল বলের ক্রিকেটে সাফল্য পেয়েছে বলেই এখন সাদা বলের ক্রিকেটে সফল। লারা সব সময়েই বলে, ও সব ফরম্যাটের ক্রিকেটার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা হয় ওদের। কী ভাবে খেলতে হবে, সেই নির্দেশ দেয় লারা।”