ফাইল চিত্র।
একটা ভাল শুরু টেস্ট ম্যাচের উপরে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা দেখা গিয়েছে সেঞ্চুরিয়নে। প্রথম টেস্টের পিচে বল একটু বেশি বাউন্স করছিল ভারতের মাঠের চেয়ে। সেখানে কোন বলটা খেলতে হবে আর কোন বলটা ছাড়তে হবে, সেটা দারুণ ভাবে দেখিয়েছে কে এল রাহুল-মায়াঙ্ক আগরওয়াল জুটি।
রাহুল যে এখন ধারাবাহিক ভাবে রান পাচ্ছে, তার নেপথ্যে কিন্তু একটা কারণ আছে। অফস্টাম্পের বাইরে বল ছাড়ায় রাহুল যে বিবেচনা দেখাচ্ছে, সেটাই ওকে এতটা ধারাবাহিক করে তুলেছে টেস্ট ক্রিকেটে। গত দু’বছরে রাহুল সে ভাবে রান পাচ্ছিল না। বারবার আউট হয়ে যাচ্ছিল। আর তার কারণ ছিল অফস্টাম্পের উপরে কোন বলটা ছাড়বে আর কোন বলটা মারবে, সেটা বুঝতে না পারা। ইংল্যান্ড সফর থেকে শট বাছাইয়ে দারুণ বিচক্ষণতা দেখাচ্ছে রাহুল। যে কারণে ওর ব্যাট থেকে রানও পাওয়া যাচ্ছে।
রাহুলকে দেখে আমার এখন মুরলী বিজয়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন বল ছাড়ার ব্যাপারে বিজয়ের মতো দক্ষতা খুব কম ব্যাটারেরই ছিল। টেস্ট ক্রিকেট খেলার সময় একটা কথা মাথায় রাখতে হয়। শুরুর দিকে যত বেশি বল ছাড়া যাবে, বড় ইনিংস খেলার সম্ভাবনা তত বেড়ে যাবে। সেই ব্যাটার নিজেকে সময় দিতে পারবে পিচের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার। বল কতটা বাউন্স করছে, কতটা নড়াচড়া করছে, সব বুঝতে পারবে। তার পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের ব্যাটিং বদলে নিতে পারবে। টেস্ট ক্রিকেটে রান পাওয়ার অনেক রকম রাস্তা আছে। তার মধ্যে একটা হল ইনিংসের শুরুতে ধৈর্য ধরে ব্যাট করা। জলপান থেকে চা বিরতি, যখনই খেলা বন্ধ থাকার পরে শুরু হবে, তখন ব্যাটারদের আবার এই ধৈর্যের পরীক্ষাটা দিতে হবে। সেঞ্চুরিয়নে যদি ভারতের দুই ওপেনার একশোর উপরে রান না তুলত, তা হলে কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলা কঠিন হত।
ওয়ান্ডারার্সের পিচে সমান ঘাসের আচ্ছাদন আছে। যা দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের মতো ভারতীয় পেসারদেরও সাহায্য করবে। অবাক হব না, যদি ভারত জেতে। (টিসিএম)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy