কলকাতা নাইট রাইডার্সে প্রথম বছর খেলেই আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ১০ ম্যাচে করেছিলেন ১৬৩ রান। সর্বোচ্চ ৫৪। গত বছরের দল থেকে তাঁকে নিলামে তুলে দিয়েছিল কেকেআর। কিন্তু চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে রীতিমতো লড়াই করে তাঁকে তিন কোটি টাকায় দলে ফিরিয়ে এনেছে নাইট-রা। তিনি অঙ্গক্রিশ রঘুবংশি।
রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বই দলের সঙ্গে ইডেনে এসেছেন তরুণ ওপেনার। তারকাদের ভিড়ে প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি তাঁর। মুম্বইয়ের উপরের সারির ব্যাটসম্যানেরা ব্যর্থ হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে আসার পরে ইডেনে ইন্ডোরের জিমে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই পথেই আনন্দবাজারকে অঙ্গক্রিশ বলেন, ‘‘এ বার ইডেনেই মরসুমের প্রথম ম্যাচ। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার এবং ফাইনালও এখানে। ঘরের মাঠে আইপিএল জিতে দেখাতে চাই।’’ যোগ করেন, ‘‘শেষ বার চেন্নাইয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে কলকাতার মানুষদের থেকে অনেক ভালবাসা পেয়েছি। এ বার ইডেনে দাঁড়িয়ে ট্রফি জিততে চাই। আমাদের দল যথেষ্ট ভাল। চতুর্থ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আদর্শ।’’
নিলামের আগে চেন্নাই সুপার কিংসের ট্রায়ালে গিয়েছিলেন অঙ্গক্রিশ। সেখানে চেন্নাই কর্তাদের নজরে উঠে আসেন। নিলামে নাইটদের সঙ্গে লড়াই করে অঙ্গক্রিশকে নেওয়ার চেষ্টা করে সিএসকে। কিন্তু কেকেআর পুরনো ক্রিকেটারদের ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। তিন কোটি টাকায় অঙ্গক্রিশকে দলে ফেরায় তারা। নাইট শিবিরের বিশ্বাস, শুভমন গিলের মতোই কেকেআরের অন্যতম তারকা হয়ে উঠবেন মুম্বইয়ের তরুণ।
রোহিত শর্মার মূল্যবান পরামর্শও পেয়েছেন অঙ্গক্রিশ। জম্মু ও কাশ্মীর ম্যাচে রোহিতের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কী কথা হল? অঙ্গক্রিশের উত্তর, ‘‘রোহিত ভাইয়ের কাছে নির্দ্বিধায় সব কিছু জানতে চাওয়া যায়। একেবারে দাদার মতো ব্যবহার করেছে। অনেক মূল্যবান পরামর্শ পেয়েছি। আশা করি, এই মরসুমে তা কাজে লাগাতে পারব।’’
কেকেআর-এ প্রথম একাদশে খেলতেন। কিন্তু মুম্বই দলে সুযোগ পাচ্ছেন না। সামনেই আইপিএল। তার আগে খেলার পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে না? অঙ্গক্রিশের উত্তর, ‘‘১১ মার্চ থেকে তো অনুশীলনে নেমেই পড়ব। মরসুম শুরু হওয়ার আগে তৈরি হয়ে ওঠার সময় আছে। মুম্বই দলে সুযোগ না পাওয়া নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। যোগ্যরাই সুযোগ পাচ্ছে। ড্রেসিংরুমে ভাল ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকছি। অনেক কিছু শিখছি।’’
গৌতম গম্ভীর মেন্টর হিসেবে থাকবেন না নাইটদের ডাগ-আউটে। তাঁর অভাব অনুভব করবেন না? অঙ্গক্রিশ বলছিলেন, ‘‘অবশ্যই করব। কেকেআর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নেপথ্যে অন্যতম কারিগর ছিলেন গৌতি ভাই। ফাইনালের আগের দিন তাঁর বক্তব্যই আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছিল।’’
গম্ভীর হয়তো দলের সঙ্গে নেই। কিন্তু তাঁর শিক্ষা অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে অঙ্গক্রিশকে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)