প্রথম বার ভারতের টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছেন অর্শদীপ সিংহ। ইংল্যান্ডে পৌঁছে খোশ মেজাজেই রয়েছেন বাঁহাতি জোরে বোলার। কারণ ভারতীয় দলের প্রস্তুতি শিবির চলছে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্লাব কেন্টের মাঠে। যে মাঠের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় রয়েছে অর্শদীপের।
ইংল্যান্ডে থাকলেও অর্শদীপের মনে হচ্ছে না বিদেশে রয়েছেন। কেন্ট তাঁর কাছে দ্বিতীয় ঘরের মাঠ। ইংল্যান্ডের এই কাউন্টি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন তিনি। ভারতের প্রস্তুতির মাঠ তাই তাঁর চেনা। মাঠকর্মী, পিচ প্রস্তুতকারকেরাও পরিচিত অর্শদীপের। উচ্ছ্বসিত অর্শদীপ বলেছেন, ‘‘আবার এখানে আসতে পেরে দারুণ লাগছে। বাড়ির মতোই মনে হচ্ছে সব কিছু। দু’মাস কাটিয়ে গিয়েছি এখানে। সব কিছুই চেনা এখানকার। এ বারও ভাল কিছু স্মৃতি নিয়ে ফিরতে চাই।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘জায়গাটা ছোট এবং শান্তিপূর্ণ। ভিড় নেই বললেই চলে। কারও মানসিক শান্তি প্রয়োজন হলে এই জায়গাটা বেছে নিতেই পারেন। কারণ এখানে সব সময় ঠান্ডা হাওয়া বইতে থাকে। সঙ্গে নরম রোদের উষ্ণতা। এমন পরিবেশে চকোলেটে চুমুক দিতে পারলে আনন্দ সম্পূর্ণ হয়। আর মিস্টি খেতে ভালবাসলে তো কথাই নেই। এখানকার বিশেষ কিছু খাবার চেখে দেখতে ভুলবেন না।’’
কেন্টের মতোই অর্শদীপ মজে রয়েছেন টেস্ট সিরিজ়ের প্রস্তুতিতেও। ইংল্যান্ডের পরিবেশের উপযুক্ত এবং প্রয়োজনীয় ছন্দের খোঁজে রয়েছেন ভারতীয় বোলার। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা প্রস্তুতিতে গুরুত্ব দিচ্ছি। ব্যক্তিগত ভাবে সঠিক ছন্দটা খুঁজছি। শরীরে ছন্দটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। লাল ডিউক বলটা হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর কেমন আচরণ করছে, সেটা বোঝার চেষ্টা করছি। আমরা গত কয়েক মাস শুধু সাদা বলের ক্রিকেট খেলেছি। তাই লাল বলের অনুশীলন দলের সকলেই বেশ উপভোগ করছে।’’
দলের প্রস্তুতি নিয়ে অর্শদীপ আরও বলেছেন, ‘‘আমরা ধাপে ধাপে এগোতে চাইছি। এক বারে সব কিছু ঠিকঠাক হয় না। যত এগোতে পারব, আমাদের খেলার ধার তত বৃদ্ধি পাবে। আমার বল খেলতে ব্যাটারেরা যেন সমস্যায় পড়ে। বেশ কয়েক ওভার বল করেছি। ব্যাটারেরা সকলেই একটু গুটিয়ে ছিল। দেখে মজাই লাগছিল আমার। খানিকটা লড়াইও হয়েছে। আমাদের বোলারদের লক্ষ্য এখন ছন্দটা ঠিক করে নেওয়া। আর ব্যাটারেরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। সাই সুদর্শন এই প্রথম দলে এসেছে। একটু ভয়ে ভয়ে ব্যাট করছিল। অধিনায়ক শুভমন গিলও বুঝেছে ব্যাপারটা। আমি বল হাতে ব্যাটারদের আরও ভয় পাওয়াতে চাই। অনুশীলনে বার বার ওদের উইকেট চাই আমার। তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’’
আরও পড়ুন:
অনুশীলনে জসপ্রীত বুমরাহের সাহায্য, পরামর্শ পাচ্ছেন অর্শদীপ। তাঁর সঙ্গে নিজের কোনও রকম তুলনা চান না বাঁহাতি পেসার। অর্শদীপ বলেছেন, ‘‘হাতে বল থাকলে বিশ্বাস করি, আমিই সেরা। কিন্তু সকলেই জানে আমি এমন একটা বোলিং আক্রমণের অংশ, যেখানে বুমরাহ বলে এক জন আছে। কোনও তুলনাই সম্ভব নয় আমাদের দু’জনের। অর্থহীন। আমরা পরস্পরকে উন্নতিতে সাহায্য করতে পারি। তাতে দলই উপকৃত হবে। আমাদের আসল লক্ষ্য সেটাই।’’