Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Asia Cup 2023

‘দলে সব থেকে বেশি চাপ নিতে হয় আমাকেই’, পাকিস্তান ম্যাচের আগে হার্দিক কি বেসুরো?

সতীর্থদের থেকে নাকি হার্দিককে বেশি চাপ নিতে হয়। তাই কত ওভার বল করবেন, তা নিজেই ঠিক করেন। বাড়তি চাপ এড়াতে ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেন। নেতৃত্ব না দিলেও এই কাজটা তিনি করেন।

picture of Hardik Pandya

হার্দিক পাণ্ড্য। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৪০
Share: Save:

এশিয়া কাপে রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ। তার আগে ভারতীয় ক্রিকেটারদের চাপ নিয়ে হঠাৎ সরব হলেন সহ-অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। তাঁর দাবি, ভারতীয় দলে তাঁকেই সব থেকে বেশি চাপ নিতে হয়। এই চাপটা অন্যরা যে চাপ নেয়, তার দ্বিগুণ বা তিনগুণ।

পাকিস্তান ম্যাচের আগে হার্দিকের এই মন্তব্য নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হতেই পারে। যদিও কোনও বিতর্ক তৈরি করতে চাননি তিনি। হার্দিকের যুক্তি বিশেষজ্ঞ ব্যাটার বা বোলারদের থেকে অলরাউন্ডারের চাপ অনেক বেশি। হার্দিক বলেছেন, ‘‘অলরাউন্ডার হিসাবে আমার উপর যে চাপ থাকে, সেটা সব সময় বাকিদের থেকে দুই বা তিন গুণ বেশি। এক জন ব্যাটারের ব্যাট করার পর কাজ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু আমাকে আবার তার পর বলও করতে হয়। তাই অনেক বেশি চাপ নিতে হয়। এই জন্য বিশেষ ভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। চাপ নেওয়ার জন্য সারা বছর ধরে তৈরি হতে হয়।’’

চাপ নিয়ে হার্দিক আরও বলেছেন, ‘‘খেলার সময় দলের প্রয়োজনটাই গুরুত্বপূর্ণ। দরকার হলে আমাকে ১০ ওভারই বল করতে হবে। প্রয়োজন না হলে কয়েক ওভার কমও করতে পারি। কিন্তু দলের প্রয়োজনটাই আসল। অনেক সময় একটু বেশি চাপ নিতে হয়। তবে বিশ্বাস করি সফল হতে চাইলে সব সময় সুযোগ নেওয়া উচিত। খেলার গতিপ্রকৃতি বোঝা দরকার। এগুলো আমাকে সাহায্য করে।’’ হার্দিক জানিয়েছেন, ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেন কত ওভার বল করবেন। প্রয়োজন মনে না হলে বল করেন না। চাপ যতটা সম্ভব কম করার জন্যই এই পদ্ধতিতে চলতে চান।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হার্দিক এখন ভারতীয় দলের নেতা। তাই ২০ ওভারের ম্যাচে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এক দিনের ক্রিকেটে সব সময় সেটা সম্ভব হয় না। কারণ অধিনায়ক রোহিত শর্মার সিদ্ধান্তকে সম্মান করেন তিনি। যদিও কত ওভার বল করবেন, সে ব্যাপার তিনিও মতামত দেন।

চোটের জন্য বেশ কিছু দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল হার্দিককে। ২০২২ সালের আইপিএল থেকে মাঠে ফিরেছেন। এখনও টেস্ট ক্রিকেট খেলছেন না তিনি। ২২ গজে সাফল্যের নিজস্ব রসায়ন রয়েছে হার্দিকের। এ নিয়ে বলেছেন, ‘‘একটা বিষয় বুঝি। যাই ঘটুক সব সময় নিজেকে সমর্থন করতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে, আমিই বিশ্বের সেরা। এই ভাবনা কখনই সাফল্যের নিশ্চয়তা দেয় না। তবে সাফল্য পেতে সাহায্য করে। নির্দিষ্ট ভাবে চলতে সাহায্য করে। বিশ্বাস থাকলে কিছু না কিছু ফেরত আসেই।’’

গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হার্দিকের ৮৭ রানের ইনিংস ভারতীয় দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল। রবিবারের ম্যাচেও তিনি রোহিতের অন্যতম ভরসা। সতীর্থদের থেকে বাড়তি চাপ নিতে হলেও তৈরি হার্দিক। তিনি ভয় পান না। আবার বাড়তি চাপ নিতেও চান না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE