এশিয়া কাপ ক্রিকেট ঘিরে নতুন করে জটিলতা। সেপ্টেম্বরে প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা। তার আগে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে ঢাকায় বৈঠক করতে চান পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। তিনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলেরও (এসিসি) প্রধান। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে যেতে নারাজ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্তারা। নকভিকে সে কথা জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সে দেশে যেতে নারাজ বিসিসিআই কর্তারা। তাঁরা নকভিকে জানিয়েছেন, ঢাকায় বৈঠক হলে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়। অন্য কোথাও (পাকিস্তান বাদে) বৈঠক হলে যোগ দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। কঠোর অবস্থান নিয়েই চলতে চাইছেন বিসিসিআই কর্তারা। এসিসি এখনও বৈঠকের জায়গা বদল নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। ফলে আগামী এশিয়া কাপ বিশবাঁও জলে বলে মনে করা হচ্ছে।
এসিসির সদস্য দেশগুলির মধ্যে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান এবং ওমানের সমর্থন ভারতের সঙ্গে রয়েছে। ভারত তাদের দলে টেনে নিয়েছে। বিসিসিআই বৈঠকে যোগ না দিলে এই তিন দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারাও ঢাকায় যাবেন না বলে জানিয়েছেন এসিসিকে। যদিও এ ব্যাপারে কোনও পক্ষই এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানায়নি।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালে এশিয়া কাপ আয়োজনের কথা ছিল ভারতের। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘর্ষের পর তা সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ কোনও দেশে প্রতিযোগিতা হলে তবেই ভারত এবং পাকিস্তান দু’দেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হতে পারে। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) মধ্যস্থতা বৈঠকে পিসিবি কর্তারা জানিয়ে দেন, ভারতে কোনও দল পাঠাবেন না তাঁরা। গত এশিয়া কাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো ভারতে আয়োজিত কোনও প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের ম্যাচগুলি হতে হবে নিরপেক্ষ দেশে। এই দুই প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের পাকিস্তানে পাঠায়নি বিসিসিআই। যদিও এই দুই প্রতিযোগিতার মাঝে এক দিনের বিশ্বকাপ খেলার জন্য বাবর আজ়মদের ভারতে পাঠিয়েছিল পিসিবি।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার পর থেকেই পাকিস্তান সফরে যায় না ভারতের কোনও ক্রিকেট দল। ২০১২-১৩ মরসুমের পর থেকে বন্ধ যাবতীয় দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ়ও।