জৈব বলয়ে থাকার সময়ের অভিজ্ঞতার কথা এত দিন পর বললেন কোহলি। —ফাইল ছবি।
কোভিড মানুষের জীবনে বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ক্রীড়াবিদরাও তার বাইরে নন। সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে তাঁদের রাখা হত জৈব বলয়ের মধ্যে। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? এত দিন পর জানিয়েছেন বিরাট কোহলি।
টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে কোহলি এখন ইংল্যান্ডে। সেখানে এক সাক্ষাৎকারে জৈব বলয়ের মধ্যে থাকার দিনগুলি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। কোহলি জানিয়েছেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে বলতে পারি জৈব বলয়ের মধ্যে থাকা বেশ কঠিন। চার দিকে কত কিছু ঘটে যেগুলো জানা যায় না। ক্রিকেটের বিষয়ও ঘটে। অনেক পরে সবাই জানতে পারে। সেই পরিস্থিতির মধ্যে কী ভাবে থাকতাম তা কেউ জানে না।’’
জৈব বলয়ের মধ্যে থাকা যে কষ্টকর, তা আগে জানিয়েছেন অন্য ক্রীড়াবিদরা। যদিও কোহলি এত দিন এ নিয়ে তেমন কিছু বলেননি। গত বছরও আইপিএলের সময় ক্রিকেটারদের রাখা হয়েছিল জৈব বলয়ের মধ্যে। তার পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। জৈব বলয়ে থাকার সময় ক্রিকেটাররা দলের বাইরে কারও সঙ্গে দেখা করতে পারতেন না। ইচ্ছা মতো কোথাও যেতে পারতেন না। খেলা, অনুশীলনের বাইরে হোটেলের নির্দিষ্ট অংশের মধ্যে বন্দি থাকতে হত। কখনও কখনও টানা দু’মাসও এ ভাবে কাটাতে হয়েছে তাঁদের। যা ক্রীড়াবিদদের জন্য বেশ কষ্টকর।
কোভিডের সময় জৈব বলয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের অনেক খেলোয়াড়কেই প্রভাবিত করেছিল। ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘শুধু কোহলি নয়। আমাদের অনেকেই মানসিক ভাবে বেশ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। জৈব বলয় অনেকের মধ্যেই মানসিক ক্লান্তি, একঘেঁয়েমি তৈরি করেছে।’’ রোহিত জানিয়েছিলেন, হোটেলের মধ্যে বন্দি থাকা অনেক খেলোয়াড়ের মধ্যে একাকিত্বের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। পরিবারের কোনও সমস্যা হলেও সে সময় খেলোয়াড়রা চাইলেই যেতে পারতেন না সব সময়। যা তাঁদের উপর মানসিক চাপ তৈরি করত।
কোহলিও সেই কথাই বলতে চেয়েছেন। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের কথায়, জৈব বলয়ে থাকার সময় তাঁদের মানসিক অবস্থা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও খেলোয়াড়দের মধ্যে কোভিডের সময়ের জৈব বলয়ের প্রভাব রয়ে গিয়েছে। মানসিক চাপ সে সময় অনেকের পারফরম্যান্সেও প্রভাব ফেলেছিল বলে জানিয়েছিলেন রোহিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy